নিজস্ব প্রতিবেদন: আরবিআই বিতর্কে মনমোহন সিংয়ের সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর অভিযোগ, ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ‘যথেচ্ছ’ ঋণ দিয়েছে ব্যাঙ্ক। নয়া দিল্লির এক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে আর্থিক বিপর্যয় ঘটার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ব্যাঙ্কগুলোকে দরজা খুলে দিতে বলা হয়। এ সময় ‘যথেচ্ছ’ পরিমাণে লোন দেয় ব্যাঙ্কগুলো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোর উপর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কড়াকড়ি করায় নগদের ঘাটতি দেখা গিয়েছে বাজারে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আরও বেশি ‘জনদরদি’ হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ দিতে চাপ তৈরি করছে কেন্দ্র। কিন্তু বাধ সেধেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি। ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোর ঋণ বিলির উপর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। উর্জিত প্যাটেলের সংস্থার এই নীতির তীব্র বিরোধিতা করে মোদী সরকার।


আরও পড়ুন- বিজেপির দুর্নীতির চাপে ঘেঁটে গিয়ে ভুল বলেছি, নিজের হুলেই বিদ্ধ রা-হুল


উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গর্ভনর বিরল আচর্য্য এক অনুষ্ঠানে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের উপর কেন্দ্রে ‘নাক গলানো’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাজে বাধা সৃষ্টি করলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। ২০১০ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাজে আর্জেন্টিনা সরকারের নাক গলানোর প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। বিরল বলেন, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার গোটা অর্থনীতি।


আরও পড়ুন- রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে হেয় করা বিপর্যয়ের সামিল: বিরল-মন্তব্যে এক সুর কর্মীদের


প্রকাশ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এমন মন্তব্য নজিরবিহীন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিরলের এমন ‘বিরলতম মন্তব্যে’ বেশ অস্বস্তিতে পড়ছে কেন্দ্র। যদিও ডেপুটি গভর্নরকে কার্যত সমর্থন করছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মচারীরাও। সোমবার, এক বিবৃতি দিয়ে অল ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে,  দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ককে হেয় করা এক প্রকার বিপর্যয়। কেন্দ্রকেই এর প্রতিরোধ করা উচিত। রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ঘোড়ার নাল পরানোর বদলে দুই পক্ষ একসঙ্গে বসে সমাধান সূত্র বার করা উচিত। বিরল আচার্য্যও এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন। সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি এও  বলেন, কেন্দ্রের এমন আচরণে মূলধনী বাজারে আস্থা হারাবে লগ্নীকারীরা।