ওয়েব ডেস্ক: দীপাবলির আগে দেশবাসীকে খুশির খবর শোনাতে পারল না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় সরকার অভয় দিলেও চলতি অর্থবর্ষে প্রস্তাবিত আর্থিক বৃদ্ধিতে পৌঁছতে পারছে না দেশ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত অগাস্টে ত্রৈমাসিক ঋণনীতি ঘোষণায় আরবিআই বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল ৭.৩ শতাংশে। জল মেপে তিন মাসের মধ্যেই বদলে গেল লক্ষ্য। আরবিআই জানাল, চলতি আর্থিক বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার থাকতে পারে ৬.৭ শতাংশে। অর্খাত্ সাত শতাংশ পার করবে না আর্থিক বৃদ্ধির হার। অচ্ছে দিনও অধরা। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি ছিল ৫.৭ শতাংশ। ‌যা গত তিনবছরের নিরিখে সর্বনিম্ন। 


শুধু বৃদ্ধিই কমছে না, মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে আরবিআই। মূল্যবৃদ্ধির হার চার শতাংশে পৌঁছতে পারে বলে অনুমান আরবিআই-এর। 


আরবিআই-এর সামনে চ্যালেঞ্জ-


বেলাগাম হতে শুরু করেছে মূল্যবৃদ্ধি 


অর্থনীতির অবস্থাও খারাপ


উৎসাহ হারাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা 


ডলার নিরিখে দুর্বল হচ্ছে টাকা


এরইসঙ্গে ‌যোগ হয়েছে জিএসটি ও খারিফ শস্য উত্পাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারা। উৎপাদন ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে নয়া কর ব্যবস্থা। ‌ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যাশা অনুসারে জিডিপি টেনে তুলতে পারছে না অর্থনীতিকে।


ভারতের নিজস্ব সমস্যার পাশাপাশি বিদেশ থেকেও সমস্যার আমদানি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম রেকর্ড বেড়েছে। গত সপ্তাহে তা পৌঁছেছিল ৫৯.৪৯ ডলারে। এর সঙ্গে ট্রাম্পের কর নীতির জেরে অবমূল্যায়ন হয়েছে ভারতীয় টাকার। ফলে এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে তেল আমদানির খরচ। মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে পেট্রোল-ডিজেলের বর্ধিত দর। অন্যদিকে দাম বাড়তে চলেছে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত অন্যান্য পণ্যের। মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল আরবিআই। 
  
সবমিলিয়ে সামনের দিনে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই বিবেক দেবরয়ের নেতৃত্বে আর্থিক উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি অর্থনীতির হাল ফেরাতে একাধিক পদক্ষেপ করার ভাবনাচিন্তা চলছে। 


আরও পড়ুন, রেপো রেট ৬ শতাংশেই অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই, কমল আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা