ওয়েব ডেস্ক : জঙ্গি হানায় ফের রক্তাক্ত অসম। কোকরাঝাড় বাজারে অটো চড়ে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল জঙ্গিরা। এই হামলায় কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ২০ জন। এক জঙ্গিকেও নিকেশ করেছে সেনা। প্রশাসনের দাবি, এই হামলার পিছনে NDFB-সংবিজিত গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। যদিও হামলার দায় নিচ্ছে না এই জঙ্গিগোষ্ঠী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোকরাঝাড়ের বালাজান, তিনিয়ালি বাজার এলাকা...ঘড়িতে সময় তখন সাড়ে বারোটা, বাজারের মধ্যে আচমকাই শুরু হয় গুলিবৃষ্টি, সঙ্গে গ্রেনেড বিস্ফোরণ।  


আরও পড়ুন- অসমে জঙ্গিহানা, মৃত ১৪, আহত ২০


আজ দুপুরে এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের ছায়া সেখানে। জঙ্গিদের হাতে ছিল AK-56 রাইফেল এবং গ্রেনেড। বাজারে ঢুকেই গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। এর পরেই শুরু হয় এলোপাথাড়ি গুলি বৃষ্টি। ঘটনাস্থলেই ১২ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। পাল্টা প্রতিরোধ করেন বাজারে উপস্থিত নিরাপত্তা রক্ষীরাও। এক জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনা। তার থেকে AK-56 রাইফেল, ম্যাগাজিন ও গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
 
হামলার পিছনে কারা?


অসম পুলিসের দাবি এই হামলার পিছনে রয়েছে NDFB-সংবিজিত গোষ্ঠী। নিহত জঙ্গিকেও সংবিজিত গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনুমান ভূটানের ক্যাম্প থেকে হামলা চালাতে অসমে ঢোকে এরা।


এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এদিন নয়াদিল্লিতেই ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। NSA  অজিত দোভালও অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে রাজনাথ সিংও অজিত দোভালের সঙ্গে এই হামলা নিয়ে আলোচনা করেন।


কেন এই হামলা?
 
প্রাথমিক অনুমান আতঙ্ক ছড়াতেই এবার হামলার পথে হেঁটেছে জঙ্গিরা। আগে হামলায় আদিবাসীদেরই বেছেবেছে টার্গেট করা হত। তবে এবার মৃতদের মধ্যে বোরোরাও রয়েছেন। আর তাতেই এই ধারণা জোরদার হয়েছে। এই হামলার তদন্তভার নিতে পারে NIA।