নিজস্ব প্রতিবেদন: ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের স্লিপ একশো শতাংশ মিলিয়ে নেওয়ার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, আবেদনটি একেবারে ননসেন্স।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চেন্নাইয়ের একটি সংস্থা জনস্বার্থ মামলায় আবেদন করেছিল, ভোটার পেপার ট্রেইল স্লিপের সঙ্গে ইভিএমের সব ভোট মিলিয়ে গণনা করা হোক। গত মাসেই ইভিএম মেশিনের সঙ্গে অন্তত ২৫ শতাংশ ভিভিপ্যাট গণনার আবেদন করেছিল ২১টি বিরোধী দল। ওই আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ৮ এপ্রিলের শুনানিতে নির্বাচন কমিশন সওয়াল করেছিল, প্রতিটি কেন্দ্রের ভিভিপ্যাটের সঙ্গে ইভিএমের ভোট পঞ্চাশ শতাংশ মিলিয়ে দেখতে গেলে ৫দিন সময় লাগবে। তখন শীর্ষ আদালত জানায়, একটি থেকে পাঁচটি পোলিং বুথের ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের স্লিপ দেওয়া হোক। এতে বিরোধীরাও সন্তুষ্ট হবে, নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় আস্থাও বাড়বে। 



ওই রায়ের পর এদিনের জনস্বার্থ মামলায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও এমআর শাহের পর্যবেক্ষণ,''সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিষয়টির আগেই নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। দুই সদস্যের অবকাশকালীন বেঞ্চের কাছে আবার দরবার করছেন কেন? এই মামলার শুনানিতে তত্পরতা দেখাতে পারছি না। প্রধান বিচারপতি রায় খারিজ করতে পারি না। যত্ত সব ছাইপাঁশ (ননসেন্স)''।


এদিনই আবার নির্বাচনের কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ২২টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। ওই বৈঠকেই দাবি ওঠে, ভোটগণনার শেষ ধাপে নয়, বরং শুরুতেই ভিভিপ্যাটের স্লিপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হোক ইভিএম। তাতে গড়বড় পাওয়া গেলে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাটের স্লিপ ও ভোট মিলিয়ে দেখা হোক। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক চলে দুপক্ষের। বিরোধীদের দাবি, গণনার শুরুতেই ভিভিপ্যাটের স্লিপ গুনে দেখা হোক। ভুলভ্রান্তি পাওয়া গেলে ১০০ শতাংশ স্লিপ মিলিয়ে দেখার ব্যবস্থা করুন''।


আরও পড়ুন- হিন্দুত্বের ঠেলা? শ্মশানের পুরোহিতদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার