ওয়েব ডেস্ক: জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে, কড়া নিরাপত্তায় নয়াদিল্লিতে পালিত হল ৬৭তম প্রজাতন্ত্র দিবস। এই উপলক্ষে রাজপথে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদে। প্রথমেই রাজপথে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর একে একে  আসেন উপরাষ্ট্রপতি ডক্টর হামিদ আনসারি সহ বিশিষ্ট অতিথিরা। সকলকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই গাড়িতে রাইসিনা হিলস থেকে রাজপথে আসেন ওলাঁদে। তাঁদেরকেও স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। কুচকাওয়াজ দেখতে সকাল থেকেই রাজপথে ভিড় করেন উত্‍সাহী মানুষজন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিভিন্ন সংস্থা আর রাজ্যের ট্যাবলো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই নয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, শত্রুপক্ষের হামলা থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে, সেনাবাহিনীর ভাণ্ডারে কী কী অস্ত্র মজুত রয়েছে, তা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে একটা ধারনা তৈরি করা। তারজন্যই এবছর প্রদর্শিত হল ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারি টি নাইনটি ট্যাঙ্ক ভীস্ম। ছিল পদাতিক বাহিনীর কমব্যাট যান বিএমপি টু শরথ। এছাড়াও ছিল ব্রহ্ম এবং আকাশের মত ক্ষেপণাস্ত্র  উতক্ষেপণকারী সমরযান। বায়ুসেনা তুলে ধরল তাদের C17 গ্লোবমাস্টার, C130 হারকিউলিস এবং MI 17V5 যুদ্ধবিমান। এই বিমানগুলি উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, ইয়েমেন এবং নেপালে বিভিন্ন ধরণের ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত হয়। নৌসেনা দেখাল তাদের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান বহনকারী নির্মিয়মাণ যুদ্ধজাহাজ INS বিক্রান্তের মডেল। এছাড়াও ছিল সম্পুর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত সাবমেরিন কলভারির মডেল।


এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিল ফরাসি সেনার ৭৬জন সদস্যের একটি দল। নেতৃত্বে ছিলেন ফ্রেঞ্চ সামরিক ব্যান্ডের আটচল্লিশজন সঙ্গীত শিল্পী। এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে অংশ নিল কোনও বিদেশি সেনাবাহিনী। এছাড়াও এবারের কুচকাওয়াজের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সেনাবাহিনীর ডগ স্কোয়াডের প্যারেড। ছাব্বিশ বছর পর ফের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে সামিল হল ডগ স্কোয়াড। আর ছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উট স্কোয়াড। নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি কমাডেন্ট কুলদীপ জে চৌধুরী। এবারই প্রথম ছাব্বিশে জানুয়ারির অনুষ্ঠানে ট্যাবলো নামালেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীরা।