নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর সীমান্তে অব্যাহত টানটান উত্তেজনা। জরুরি সতর্কবার্তা জারি হয়েছে কাশ্মীরের আকাশ পথে, নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সমস্তরকম বিমান চলাচলে। বুধবার ভারতের জবাবি আক্রমণের পর বেপরোয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীর পুলিস সূত্রে খবর, পরিস্থিতির অবনতির কারণে উড়ির কামালকোট নাল্লা এবং কালগীর বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের লেফট্যানেন্ট কর্নেল দেবেন্দ্র আনন্দ বলেন, বুধবার রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে লাগাতার দফায় দফায় গুলিবর্ষণ করে পাকিস্তান। পাল্টা আক্রমণে ৫টি পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই  নিহত হয়েছে বেশ কয়েকজন পাক সেনা। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতির কারণে উরির কামান পোস্টের মাধ্যমে হওয়া বাণিজ্যিক লেনদেনেও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। উরি ছাড়াও রাজৌরি জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখার ০-৫ কিমি দূরত্বের মধ্যে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বুধবার বন্ধ রাখা হয়েছে। পঞ্চম,ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষা এদিন বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বায়ুসেনার হামলায় বালাকোটে নিহত ৪২ জন আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রশিক্ষিত জঙ্গি


সূত্রের খবর, গোলাগুলির আঘাতে জখম হয়েছে পাঁচ ভারতীয় সেনা, যদিও বর্তমানে তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। মঙ্গলবার ভোর রাতে বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। তার একদিন পরই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। প্রসঙ্গত, বুধবার ভোর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানের মেমানদার এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলির লড়াই শুরু হয়।  সূত্রের খবর, সোপিয়ানে সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল সেনা, সিআরপিএফ এবং স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ।  তল্লাশির সময় সন্ত্রাসবাদীরা নিরাপত্তা রক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পাল্টা জবাবে তাদের প্রতিহত করে ভারতীয় সেনা। এরপরই এনকাউন্টারে ২ জইশ জঙ্গি খতম হয়েছে বলে সূত্রের খবর।