বায়ুসেনার হামলায় বালাকোটে নিহত ৪২ জন আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রশিক্ষিত জঙ্গি
মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল যে হামলায় নিহত প্রায় সাড়ে তিনশো জইশ জঙ্গি। তার মধ্যে পাঁচজন বড় মাথাও রয়েছে।
![বায়ুসেনার হামলায় বালাকোটে নিহত ৪২ জন আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রশিক্ষিত জঙ্গি বায়ুসেনার হামলায় বালাকোটে নিহত ৪২ জন আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রশিক্ষিত জঙ্গি](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/02/27/177898-ss-2-bala.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার বদলা নিয়েছে ভারত। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জইশ-ই-মহম্মদের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
আরও পড়ুন: LoC-তে টান টান উত্তেজনা, সোপিয়ানে এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি!
মঙ্গলবার ভোররাতের সেই ঘটনার পর সময় যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে নতুন তথ্য। ওই অভিযানে ৪২ জন প্রশিক্ষিত আত্মঘাতী বোমারু-জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে বলে খবর।
মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল যে হামলায় নিহত প্রায় সাড়ে তিনশো জইশ জঙ্গি। তার মধ্যে পাঁচজন বড় মাথাও রয়েছে। ওই পাঁচজনের মধ্যে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালক, ভাই, দাদারাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: LoC তে ব্যাপক গোলবর্ষণ, আহত ৫ ভারতীয় জওয়ান
এবার জানা গেল নিহতদের মধ্যে ৪২ জন প্রশিক্ষিত আত্মঘাতী বোমারু-জঙ্গিও রয়েছে। তারা বালাকোটের ওই জঙ্গিঘাঁটিতে হামলায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
একটি তালিকা সামনে এসেছে। সেই তালিকা অনুযায়ী, যে ৪২ জন আত্মঘাতী-জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪ জন রাওয়ালপিন্ডি, অ্যাটোকের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: রাত জেগেও ক্লান্তিহীন, আম আদমির সঙ্গে মেট্রোয় সওয়ার মোদী
প্রসঙ্গত, রাওয়ালপিন্ডি হল মাসুদ আজহারের ডেরা। ওটাই তার জেলা। এখন সেখানেই রয়েছে মাসুদ। সূত্রের খবর, মাসুদকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে রাওয়ালপিন্ডির হাসপাতালে।
অবশ্য এর আগে ওই জঙ্গিঘাঁটিতে মাঝেমধ্যেই আসত মাসুদ। প্রশিক্ষণের সব তথ্য খতিয়ে দেখত। আরও কয়েকজন বড় জঙ্গি সেই ক্যাম্পে নিয়মিত আসত বলেই জানা গিয়েছে। জইশের ওই ঘাঁটিতে হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গিরাও প্রশিক্ষণ নিত বলে খবর।
আরও পড়ুন: ভারতে হামলার চেষ্টা করলে মস্ত ভুল করবে পাকিস্তান: বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান
একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, কুনহুর নদীতে তীরে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে প্রশিক্ষণের সুবিধা ছিল। আর সেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে মূলত রাখা হত পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকদের।
উল্লেখ্য, মাসুদ আজাহার মঙ্গলবার বালাকোটের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলার কথা মেনে নিয়েছিলেন। তবে এতে জঙ্গিঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলেই দাবি করেছিলেন মাসুদ আজাহার।