নিজস্ব প্রতিবেদন: লখনৌয়ে গুলি করে খুন করা হল হিন্দু সমাজ পার্টির সভাপতি ও হিন্দু মহাসভার প্রাক্তন নেতা কমলেশ তিওয়ারির। তাঁর মৃত্যুর পর অশান্তি ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কয়েকটি জায়গায় ভাঙচুর চালিয়েছে কমলেশ তিওয়ারির সমর্থকরা। লখনৌয়ের আমিনাবাদে জোর করে দোকানপাট বন্ধ দকরে দেওয়া হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে চলছে বিক্ষোভও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লখনৌয়ের খুরশিদ বাগ এলাকায় কমলেশ তিওয়ারির অফিস। সেখানে তাঁর সঙ্গে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে দেখা করতে এসেছিল দুই ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে চা-ও খান তাঁরা। এরপর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক ব্যক্তি। তারপর গলার নলি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেয় তারা। 



লখনৌ পশ্চিমের অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিকাশ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন,''কমলেশ তিওয়ারিকে খুন করা হয়েছে। দুজন ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কথাবার্তা চলছি। তখন নিজের দলের কর্মীকে পান আনতে বাইরে পাঠান তিওয়ারি। সেই সুযোগে তাঁর উপরে হামলা চালায় ওই দুজন।'' সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের সনাক্তকরণে প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পুলিস।


কমলেশ তিওয়ারি হত্যাকাণ্ডের প্রভাব পড়েছে আশেপাশের জেলায়। লখনৌয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তাঁর সমর্থকরা। দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। একইসঙ্গে পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও উঠেছে। 


হিন্দু মহাসভার প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন কমলেশ তিওয়ারি। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে হিন্দু সমাজ পার্টি গঠন করেন তিনি। মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর উপরে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে চার্জগঠন করেছিল পুলিস। তবে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চ ওই চার্জ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়।


চলতি মাসে এনিয়ে হিন্দুত্ববাদী দলের ৪ জন নেতাকে খুন করা হল উত্তরপ্রদেশে। গত ৮ অক্টোবর দেওবন্দে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল বিজেপি নেতা চৌধুরী যশপাল সিংকে। ১০ অক্টোবর বস্তিতে খুন হয়েছিলেন বিজেপি নেতা কবীর তিওয়ারি। ১৩ অক্টোবর খুন হন দেওবন্দের বিজেপি কাউন্সিলর ধারা সিং।


আরও পড়ুন- অভিজিৎ বামপন্থী মনোভাবাপন্ন, তাঁর তত্ত্ব খারিজ করেছেন দেশের মানুষ: পীযূষ