নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীর অটোগ্রাফ পেয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন কলেজ ছাত্রী রীতা মুদি। কলকাতা থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের শালগেড়া গ্রামের বাসিন্দা রীতা এখন রীতিমতো সেলিব্রিটি। বাড়িতে অতিথিদের ভিড় তো লেগেই আছে, এমনকি বিয়ের প্রস্তাবও পেয়েছেন ১৯ বছরের তরুণী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১৬ জুলাই মেদিনীপুরে নরেন্দ্র মোদীর সভায় ভেঙে পড়েছিল শামিয়ানার একাংশ। আহত হয়েছিলেন শতাধিক। কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছিল মেদিনীপুর হাসপাতালে। সভা শেষে আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছন নরেন্দ্র মোদী। ওই সভায় মোদীর ভাষণ শুনতে মা ও বোনের সঙ্গে গিয়েছিলেন রীতা মুদিও। শামিয়ানা ভেঙে পড়ার পর তাঁকেও ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। যাঁকে এতদিন টিভিতে দেখে এসেছেন, সেই নরেন্দ্র মোদীকে হাতের কাছে পেয়ে অটোগ্রাফের আবদার জুড়ে দেন 'মোদীভক্ত' রীতা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই চান প্রধানমন্ত্রীর হস্তাক্ষর। রীতা মুদির কথায়, ''আমি ওনার কাছে একটা অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম। উনি একটু দ্বিধাবোধ করছিলেন। তবে জোর করায় আবদার রাখলেন। পাশের একজনের থেকে কাগজ নিয়ে লেখেন, 'রীতা মুদি তুমি সুখে থাক, নরেন্দ্র মোদী'।''


হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অটোগ্রাফ চেয়ে প্রচারের আলোয় চলে আসেন রীতা মুদি। তাঁর কথায়,''সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদপত্রে আমার ছবির ছাপায় বিখ্যাত হয়ে গিয়েছি''। তারপর থেকে বদলে গিয়েছে জীবনও। গত ১০ দিন ধরে প্রচুর মানুষ বাড়িতে আসছেন। দেখছেন ওই অটোগ্রাফটি। রীতার কথায়, ''যাঁরা আগে কথা বলতেন না, তাঁরাও আসছেন। বাড়িতে ভিড় লেগেই আছে''।


শুধু যে অভ্যাগতদের ভিড় তা-ই নয়, বিয়ের প্রস্তাবও পেয়েছে ১৯ বছরের রীতা। তাঁর মা সন্ধ্যা মুদির কথায়, ''রীতার জন্য দুটো বিবাহের প্রস্তাব পেয়েছি। প্রথমটি এসেছে ঝাড়খণ্ডের টাটানগর থেকে। পাত্রের নিজস্ব ব্যবসা। কোনও দাবিদাওয়া নেই। এমনকি তাঁরা নিজেদের বাড়িতেও ডেকেছেন আমাদের। আর একটি প্রস্তাব পেয়েছি বাঁকুড়ার ছাতনা থেকে। পাত্রের নিজস্ব চাষের জমি রয়েছে। মেয়েদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটাতে চাই না। এখনও বিয়ে নিয়ে ভাবছি না, তাই আগ্রহ দেখাইনি''।  


প্রধানমন্ত্রীর অটোগ্রাফের আগেও বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন রীতা মুদি। তবে তখন ১ লক্ষ টাকা পণের দাবি করেছিল পাত্রপক্ষ। এত টাকা পণ দেওয়ার ক্ষমতা নেই রীতার বাবা পেশায় কৃষক সুভাষচন্দ্র মুদির। বাঁকুড়া খ্রীষ্টান কলেজের ছাত্রী রীতার কথায়, ''আমি পড়াশোনা করতে চাই। তারপর মা-বাবার পছন্দের পাত্রকেই বিয়ে করব''।


আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর, ফের বেতন বাড়াতে চলেছে মোদী সরকার?