নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেস সভাপতি পদে রাহুল থাকছেন? এই জল্পনাই এখন তুঙ্গে কংগ্রেসের অন্দরে। সভাপতি থেকে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছেন রাহুল। ঘরে ও বাইরে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে। সূত্রে খবর, যত দিন না সভাপতির জন্য কাউকে মনোনীত করা হচ্ছে, ওই পদ ততদিন সামলাবেন রাহুল। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। রাহুলের এই সিদ্ধান্তকে আত্মহত্যার সামিল মনে করছেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। জেলবন্দি লালু এই মুহূর্তে একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


দ্য টেলিগ্রাফ-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে লালু বলেন, “রাহুল ইস্তফা দিলে বিজেপির ফাঁদে পা দেওয়া হবে। অন্য কেউ কংগ্রেস সভাপতি হলে অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদী জুটির কাছে নয়া হাতিয়ার উঠে আসবে। তখন, রাহুল-সনিয়ার রিমোট কন্ট্রোল চালিত ‘পাপেট’ বলে সমালোচনা শুরু হবে।” রাহুলকে লালুর বার্তা, নিন্দুককে সুযোগ করে দেওয়া উচিত হবে না। মোদী ঝড়ে বিরোধীরা কুপোকাত। এ কথা অকপটে মেনে নিচ্ছেন ইউপিএ-র অন্যতম শরিক আরজেডি-র সুপ্রিমো। তাঁর দাবি, এই নির্বাচনে একনায়কতন্ত্র শক্তিকে সরাতে বিরোধীদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এই পরাজয়ের কারণ খুঁজে বের করতে হবে বলে জানান লালু প্রসাদ যাদব।


আরও পড়ুন- দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার আগে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন মোদী


তবে, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, মোদীর বিরুদ্ধে লড়ার জন্য উপযুক্ত মুখ খাঁড়া করতে ব্যর্থ হয়েছে বিরোধীরা। উদাহরণ টানেন বিহার মডেল। তাঁর কথায়, “বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নীতীশ কুমারকে কখনই মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু সাবেক জনতা পরিবারের প্রবীণ নেতা মুলায়ম সিং যাদব যখন নীতীশকে বিহার বিধানসভায় মুখ করার সিদ্ধান্ত নেন, আমরা মেনে নিই। নীতীশকে সামনে রেখেই লড়াই শুরু হয়। তখন বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলা হতো ‘দুলা’ (বর) ছাড়াই বরযাত্রী।” এ বারের নির্বাচনে মহাজোটের কাছেও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে তিনি মনে করেন।