বয়স ৬৫-র বেশি হলেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট, তৃণমূলের পর এবার নির্বাচন কমিশনে আরজেডি
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৬৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষজন পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। আগে বয়সের এই সময়সীমা ছিল ৮০ বছর
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাম ও তৃণমূল কংগ্রেসের পর এবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার নিয়মে বদল নিয়ে সরব হল রাষ্ট্রীয় জনতা দলও। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি লিখেছেন রাজ্যসভায় আরজেডি-র সাংসদ মনোজ কুমার ঝা।
আরও পড়ুন-'টাকা নেই', মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন-পিজিটিদের বেতন বন্ধের নোটিস
কী বদল হয়েছে নিয়মে?
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৬৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষজন পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। আগে বয়সের এই সময়সীমা ছিল ৮০ বছর। পাশাপাশি, কোভিড পজিটিভ ও করোনা আক্রান্ত সন্দেহ করা হচ্ছে এমন ভোটদাতারাও পোস্টাল ব্যালট ব্যবহার করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, নভেম্বরে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। দেশের করোনার সংক্রমণ তুঙ্গে। এসব কথা মাথায় রেখেই ওই সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
আরজেডির দাবি, নির্বাচন কমিশনের ওই সিদ্ধান্তের ফল অনেক সুদূরপ্রসারি হবে। এখন নতুন নিয়মে ভোটারদের চিহ্নিতকরণ কীভাবে হবে? এক্ষেত্রে দুর্নীতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুবিধে পাবে রাজ্যে শাসক জোট। আরজেডি-র দাবি এই নিয়ম বাতিল করা হোক এবং এনিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
অন্যদিকে, নতুন এই নিয়মের প্রতিবাদ করে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখেন তৃণমূল সাংসদ সুব্রত বক্সী। তাঁর যুক্তি, প্রধানমন্ত্রীর বয়স ৬৫ বেশি। অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বয়সই ৬৫ বেশি। এরা যদি ভোটে প্রচার করতে পারেন, তাহলে এঁরা ঘরে বসে ভোট দেন কীভাবে!এই ধরনের নিয়ম হলে ৬৫ বছরের ভোটরদের প্রভাবিত করার সম্ভাবনা বাড়বে।
আরও পড়ুন-গালওয়ানে ভারতের সার্বভৌমত্ব ও ২০ জওয়ানের মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রকে ৩ প্রশ্নে বিঁধলেন রাহুল
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে কমিশনে চিঠি লিখেছিলেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। ২৯ জুন লেখা একটি চিঠিতে তিনি লেখেন, নতুন এই নিয়মের জন্য দেশের সব দলের ঐক্যমত হওয়া প্রয়োজন। কারণ এর সঙ্গে দেশের বহু ভোটদাতার সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় থাকার সম্ভাবনা বেশ কম।
অন্যদিকে, পোস্টাল ব্যালটের নতুন নিয়ম নিয়ে অনড় নির্বাচন কমিশন। গত ১ জুলাই এনিয়ে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার চন্দ্রভূষণ কুমার সংবাদমাধ্যমে জানান, গণ প্রতিনিধিত্ব আই ১৯৫১ অনুযায়ী সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে পোস্টাল ব্যালট নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে নির্বাচন কমিশন।