নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের ইডির দফতরে হাজিরা প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরার। এ বার জয়পুরে। বিকানের জমি কেলঙ্কারি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজই জয়পুরে পৌঁছন রবার্ট বঢরা ও তাঁর মা মৌরিন বঢরা। গত এক সপ্তাহে এ নিয়ে ৪ বার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন ব্যবসায়ী রবার্ট বঢরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, বিকানেরে বেআইনি জমি বন্টনে অভিযুক্ত রবার্ট বঢরাকে গত মাসে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট। স্কাইলাইট হসপিটালিটি সংস্থার কর্ণধারকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয় আদালত। রবার্ট ও তাঁর মা মৌরিন ওই সংস্থার ডিরেক্টর। ইডির দাবি, ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে’ রবার্টকে ৩ বার সমন পাঠানো হয়। তবে, রবার্টের গ্রেফতারির নির্দেশ স্থগিত রেখেছে আদালত।


আরও পড়ুন- বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন মোদী, চন্দ্রবাবুর অনশন মঞ্চ থেকে বার্তা রাহুলের


উল্লেখ্য, অন্য একটি মামলায় রবার্ট বঢরাকে গত সপ্তাহে ৩ বার ম্যারাথন জেরা চালায় ইডি।  লন্ডনে বেনামি সম্পত্তি, অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারির সঙ্গে যোগসাজশ এবং কিছু ইমেলের উত্তর খুঁজতে রবার্ট বঢরাকে তলব করা হয়।  তাঁর বিরুদ্ধে লন্ডনের ১২ ব্রায়ানস্টোন স্কোয়ারের ১৯ লক্ষ পাউন্ডের বেনামে সম্পত্তি থাকার অভিযোগ রয়েছে। দুবাইয়ের মাধ্যমে ওই সম্পত্তি বঢরার নামে কেনা হয় বলে দাবি ইডির। সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় রবার্টকে কিছু ইমেইল সম্পর্কিত প্রশ্ন রাখে ইডি। অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারির ঘনিষ্ঠ লন্ডনের বাসিন্দা সুমিত চাধার সঙ্গে বঢরার সম্পর্কের কথা জানতে চাওয়া হয়। ইমেলে মনোজ নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। বেনামে সম্পত্তি কেনাবেচায় নাম রয়েছে স্কাইলাইট হসপিটালিটি সংস্থার প্রাক্তন কর্মচারি এই মনোজের। রবার্ট বঢরার সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়।


আরও পড়ুন- এই ইভিএম থাকলে লন্ডনেও পদ্ম ফোটাতে পারবে বিজেপি, গেরুয়া শিবিরকে নিশানা শিবসেনার


ইডি দফতরে হাজিরা দিতে রবার্ট যখন জয়পুরে, তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা রোড-শো করে উত্তর প্রদেশ কাঁপাচ্ছেন। যোগীর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জনসভা, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রিয়ঙ্কা। বলা হচ্ছে, তৃণমূল স্তরে কংগ্রেস কর্মীদের উজ্জ্বীবিত করতে অনুঘটকের কাজ করছেন তিনি। রবার্ট বঢরার জেরা নিয়ে প্রিয়ঙ্কার দাবি, প্রতিহিংসার রাজনীতি খেলছে বিজেপি। আমি, আমার স্বামী এবং পরিবারের পাশে সবসময় রয়েছি।