নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরের চার মাস। অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যবসায় ক্ষতি প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। দাবি, বণিকসভার। এতদিনে নিষেধাজ্ঞা একটু একটু করে শিথিল করা শুরু করেছে প্রশাসন। লক্ষ্য একটাই, চার মাসে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়া উপত্যকার অর্থনীতির দ্রুত হাল ফেরানো। জনসংযোগে নেমেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অগস্টে ৩৭০ ধারা রদের আগেই উপত্যকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেয় সরকার। সেই থেকে শুরু শাট ডাউন। প্রশাসনের ১৪৪ ধারা, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বনধের ডাক। এখনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি কাশ্মীরের পরিস্থিতি। আপেল ব্যবসা শিকেয়। ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পড়াশোনার ক্ষতি, রফতানি বন্ধ। ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতি কতটা তা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। বণিকসভার হিসেব, ৫ই অগাস্ট, ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে ৩রা ডিসেম্বর পর্যন্ত, কাশ্মীরের দশটি জেলায়, ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে, ১৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। পর্যটন-রেস্তোরাঁ-পরিবহণ, হস্তশিল্প, কৃষি, আবাসন ও ফলের ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।


কাশ্মীরে গিয়ে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এসেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ৩ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ৫ মাসের বেশি গৃহবন্দি থাকলেও ২বার বিদেশিদের উপত্যকায় নিয়ে গিয়ে, সরকার বোঝানোর চেষ্টা করেছে, পরিস্থিতি ঠিকই আছে। যদিও, বণিকসভার হিসেব বলছে ২০১৮-র অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের তুলনায় গতবছরের এই সময়ে, কাশ্মীরে পর্যটকদের সংখ্যা কমেছে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ। রফতানির পরিমাণ কমে গেছে ৬২ শতাংশ। প্রায় বন্ধ কার্পেট ও শাল রফতানি। ৪ মাসে রফতানির সঙ্গে যুক্ত ৫০ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছেন। 


আরও পড়ুন- সার্ভার রুমে ভাঙচুরই হয়নি, JNU কাণ্ডে তথ্যের অধিকার আইনে চাঞ্চল্যকর তথ্য, মুখে কুলুপ উপাচার্য


ইন্টারনেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আংশিক শিথিল হলেও, এখনও উপত্যকায় স্বাভাবিক নয় পরিষেবা। বণিকসভা বলছে, ইন্টারনেট বন্ধের জন্য কাশ্মীরে ৪ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ব্যবসায় ক্ষতি প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পর বাসিন্দারা কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কীভাবে উপকৃত হবেন, তা বোঝাতে মঙ্গলবার শ্রীনগরে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। জল- সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এদিন জম্মুতে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। আরও ৪ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপত্যকায় যাবেন। জম্মুতে যাবেন আরও একত্রিশ জন মন্ত্রী। শীত বিদায়ের পরও কাশ্মীরের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে প্রশ্ন উঠবে আরও।


তাই, উপত্যকার বাসিন্দাদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। দেশবাসী আশা করছেন আবার ভূস্বর্গ ফিরবে আগের চেহারায়। কিন্তু মাঝের এই ৪ মাসের হিসেব কীভাবে মিলবে তার উত্তর নেই।