জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ১০ বছরে সরকার পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই ছিলেন শেষকথা। সংঘের ইচ্ছা-অনিচ্ছা তেমন প্রাধান্য পায়নি। সেই ক্ষোভ, সেই ঝাঁজই কি বেরিয়ে এল মোহন ভাগবতের কথায়? নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো মোদীর বিজেপিতে কি এবার সংঘের প্রভাব বাড়বে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: কেমন থাকবে বুধবারের আবহাওয়া? জেনে নিন, বর্ষা কবে ঢুকছে বাংলায়...


সোমবার নাগপুর থেকে নানা বিষয়ে মন্তব্য করেন মোহন। নাম না করে মোদীর প্রতি বাণী, মণিপুর, নতুন সরকারের কর্মপ্রক্রিয়া, গণতন্ত্র ইত্যাদি নানা কিছু নিয়ে কথা বলেন তিনি।


নির্বাচনী প্রচারপর্বে পল্লবিত হয়েছিল এই ধারণা যে, মোদী ক্রমশ অহংকারী হয়ে উঠছেন। সেটাই কি সত্যি? রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস)-ও কি তা-ই মনে করে? না হলে কেন এদিন আরএসএস-প্রধান মোহন বললেন-- প্রকৃত সেবকের অহংকারী হওয়া সাজে না। মর্যাদা রক্ষা করে তাঁকে চলতে হয়। নির্বাচনী প্রচারে সেই মর্যাদা রক্ষিত হয়নি! বলেন, যিনি বাস্তবিকই সেবক, যাঁকে সত্যি-সত্যিই সেবক বলা যায়, তিনি সব সময় মর্যাদা রক্ষা করে চলবেন। যিনি সেই মর্যাদা পালন করে চলতে পারেন, তিনিই কর্মবীর। কিন্তু কাজ করার পর তাঁর মনে যেন অহংকার না আসে। তিনি যেন না বলেন, আমিই এই কাজ করেছি। অহংকার যাঁকে গ্রাস করে না, তিনিই প্রকৃত সেবক। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিনই নাগপুরে সংঘের সদর দফতরে শিক্ষানবিশদের ওই অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেন, ভারতের মতো বিশাল বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে সহমতের ভিত্তিতে চলা উচিত। সংঘপরিচালকের এই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিই এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।


তবে মোহন সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন মণিপুরের উপর। তিনি বলেছেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে মণিপুরে যে হিংসা চলছে তাতে তিনি উদ্বিগ্ন! এদিকে সেখানে প্রধানমন্ত্রী আজ পর্যন্ত যাননি। ভাগবত বলেন, উপদ্রুত ওই রাজ্যে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে সরকারকে গুরুত্ব দিতেই হবে। মণিপুরের দুটি লোকসভা আসনই বিজেপির দখলে ছিল। এবারের ভোটে দু'টি আসনই ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস!


আরও পড়ুন: Jamai Sasthi 2024: জামাই ষষ্ঠীতে এবার জামাইদের পাতে পড়বে না খোদ গৌড়ের আম?


গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ যে বিরোধী সেটাও এদিন মনে করান মোহন। রাজনীতিতে বিরোধী পক্ষের প্রয়োজন ও অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, আমি 'বিরোধী পক্ষ' বলি না। বলি 'প্রতিপক্ষ'। 'প্রতিপক্ষ' 'বিরোধী' হয় না। গণতন্ত্রে এটাই নিয়ম। দুই পক্ষের প্রতিযোগিতা হবে শালীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করে। অথচ এবারে সেটাই হয়নি। মতৈক্য জরুরি।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)