পাখির চোখ উত্তর-পূর্ব, তাই কি বাঁশে বরাদ্দ ১২৯০ কোটি?
২০০৬-০৭ সালে ভারতে চালু করা হয় ন্যাশনাল ব্যাম্বু মিশন। উদ্দেশ্য, বাঁশ থেকে উত্পন্ন সামগ্রী রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা রোজগার করা এবং বাঁশ উত্পাদনকারী রাজ্যগুলিকে অর্থনৈতিক ভাবে চাঙ্গা করে তোলা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঁশ উত্পাদনে জোর দিতে এবং বাঁশ সংরক্ষণে এবার বড় পদক্ষেপ করল মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাজেটে 'ব্যাম্বু মিশনে'র অধীনে ১২৯০ কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর ঘোষণা, মূলত বাঁশ চাষীদের উন্নতি ও বাঁশ থেকে তৈরি সামগ্রীকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে এই ঘোষণা নিয়ে ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, উত্তরপূর্ব ভারতের ৪ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ভেবেচিন্তেই অর্থমন্ত্রকের তরফে এই ঘোষণা কর হয়েছে।
চিনের পর বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁশ উত্পাদনকারী দেশ ভারত। ভারতে প্রধানত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিই বাঁশের যোগান দিয়ে থাকে। ভারতে আনুমানিক ৯.৫৭ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে বাঁশ উত্পাদন করা হয়। তারমধ্যে অধিকাংশ বাঁশের যোগান মেলে মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও অসম থেকে।
উল্লেখ্য, ২০০৬-০৭ সালে ভারতে চালু করা হয় ন্যাশনাল ব্যাম্বু মিশন। উদ্দেশ্য, বাঁশ থেকে উত্পন্ন সামগ্রী রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা রোজগার করা এবং বাঁশ উত্পাদনকারী রাজ্যগুলিকে অর্থনৈতিক ভাবে চাঙ্গা করে তোলা। সেই লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করতে এবারের বাজেটে ১২৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। যদিও, তা মানতে নারাজ বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করতেই এমন ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। এই চার রাজ্যের মধ্যে নাগাল্যান্ডকে বাদ দিলে বাকি রাজ্যগুলিতে বর্তমানে ক্ষমতায় নেই বিজেপি। অন্যদিকে, অসমে ২০১৬-র নির্বাচনে বিজেপি যেভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, সেই পথেই এবার উত্তর-পূর্বের বাকি রাজ্যগুলির মানুষের মন জিততে চাইছে বিজেপি, মত বিরোধীদের।
আরও পড়ুন- লোকসভা ভোটের আগে শেষ বাজেটে সবার মন ভোলানোর চেষ্টা জেটলির