নিজস্ব প্রতিবেদন:   প্রতীক্ষার অবসান। রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিক এস-৪০০ প্রতিরক্ষা চুক্তি সাক্ষরিত করল ভারত। ৫০০ কোটি  ডলারের  এই চুক্তি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারকে আরও একটু মজবুত রয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার  হায়দরাবাদ হাউসে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চুক্তি সাক্ষরিত করে ভারত। পুতিনের দেশের সঙ্গে ভারতের এই সম্পর্ক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যথেষ্টই অস্বস্তিতে ফেলল বলে মনে করছে  বিশেষজ্ঞ মহল।


গত  দু’বছর ধরে পুতিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বাড়িয়ে চলেছেন মোদী। সাংহাই  কো অপারেশন অর্গানাইজেশনে ভারতেও  পূর্ণ সদস্য হওয়ার পিছনেও রাশিয়ার সাহায্যের হাত ছিল। এবার সেই সম্পর্ক আরও মজবুত হল। রাশিয়ার সঙ্গে এই চুক্তি সাক্ষরিত করার নেপথ্যে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে...



প্রথম- চিন ও পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াতেই  এই চুক্তি। চিন ও পাকিস্তানের জোড়া মোকাবিলায় ভারতের জন্য এই চুক্তি সুবিধাজনক। ভারতের কাছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকাটা জরুরি।


দ্বিতীয়ত- ভারত সাম্প্রতিক  সময়ে আমেরিকার  দিকে বেশি ঝোঁকায় খুব কাছাকাছি এসেছে রাশিয়া-চিন-পাকিস্তান।  সেক্ষেত্রে  পুরনো বন্ধুত্বকে জিইয়ে রাখতেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের দূরত্ব কমানোর প্রয়োজন ছিল ভারতের।   প্রয়োজন ছিল সেই সম্পর্ককে আরও মজবুত করার। আর সেটাই করল এস-৪০০।   পাকিস্তানের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন চাপ বাড়ানোর ফলেই সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে নৌবাহিনী সমঝোতা চুক্তি সাক্ষরিত করেছে ইসলামাবাদ।  ভারতের পক্ষে সেটা ছিল চ্যালেঞ্জের।


শুক্রবার ভারতীয় সময় ১.৩০ মিনিটে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তি সাক্ষরিত  করে ভারত। এদিন শুধু প্রতিরক্ষাই নয়, আরও ২০ টি চুক্তি করেছে ভারত। পুতিন ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী প্রমুখ।


চুক্তি সাক্ষরিত তো বটেই, এদিন পুতিন- মোদী আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। য়েমন ইসরো, দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র প্রমুখ নিয়ে আলোচনা হয় বলে খবর।   


বৃহস্পতিবার রাতেই ভারতে আসেন পুতিন। তাঁকে স্বাগত জানান বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। মোদীর বাসভবন ৭ লোককল্যাণ মার্গের  ভবনে দুই দেশের প্রধানের বৈঠক হয়।