নিজস্ব প্রতিবেদন: সীমান্তে উত্তেজনা থাকলেও যুদ্ধের আবহে তা উধাও। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলে আসছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। একের পর এক বিমান চালিয়ে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করেছে ভারতীয় দূতাবাস। বিপদের এই সময়ে বিপন্ন পাক পড়ুয়াকেও পেছনে ফলে আসেনি ভারত। এর জন্য টুইট করে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন পাক তরুণী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতীয় পড়ুয়াদের পাশাপাশি ইউক্রেনেও আটকে পড়ছেন পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া-সহ প্রতিবেশী বহু দেশের পড়ুয়ারা। এমনই এক পাক পড়ুয়াকে ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করল সেখানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। আসমা সফিক নামে ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পশ্চিম ইউক্রেনে। সেখান থেকে তাকে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশে পাঠানো হবে।


দিনের পর দিন রুশ বোমা, বিমান হানার আতঙ্ক কাটিয়ে নিরাপদ জায়গায় ফিরতে পারায় আসমা ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সংবাদসংস্থা এএনআইকে আসমা বলেন, 'খুব বিপজ্জনক অবস্থায় ছিলাম। সেখান থেকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য কিয়েভে ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ। পাশাপাশি পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। ভারতীয় দূতাবাসের জন্য এবার নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারব।'



এবারই প্রথম নয়। এর আগেও ইউক্রেন থেকে এক বাংলাদেশি পড়ুয়াকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় দূতাবাস। এর জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। এছাড়াও ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে, ভারতীয় বিমানে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এক নেপালের নাগরিককে। রোশন ঝা নামে ওই নেপালি তরুণ ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেদেশের সংবাদপত্র কাঠমান্ডু পোস্ট-এর মাধ্যমে। পরে আরও ৭ জন নোপালিকে ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়েছে নেপালে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। অপারেশন গঙ্গা-র মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে বিশেষ বিমানে ১৮ হাজার ভারতীয় পড়ুয়াকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাকী পড়ুয়াদেরও ইউক্রেন প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে বিশেষ বিমানে ফেরানো হচ্ছে।


উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ দেশে ফিরে প্রায় এরকমই এক কথা শুনিয়েছিলেন ভারতীয় পড়ুয়া অঙ্কিত যাদব। তিনি জানিয়েছিলেন কীভাবে প্রাণ বাজি রেখে এক পাক তরুণীকে কিয়েভ থেকে রামানিয়া সীমান্তে পৌঁছে দিয়েছেন। অঙ্কিত জানিয়েছিলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক বাঙ্কারে ওর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি একবার কিয়েভ ছাড়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কার্ফু থাকার জন্য আমাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। রুশ বাহিনীর টানা বোমা বর্ষণের জন্য আমাদের কাউকেই বাঙ্কার ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না। এদিকে খাবারের সমস্য়াও হচ্ছিল। ইউক্রেনের নাগরিকরা সবাই আমিষ খাবার খাচ্ছিল। আমরা তা খেতে পারছিলাম না। ২৮ ফেব্রুয়ারি কার্ফু তুলে নেওয়া হয়। ওই সময়েই পাক দূতাবাস থেকে ওই পাক ছাত্রীর মোবাইলে একটি ফোন আসে। ওই তরুণী দূতাবাস অফিসারকে জানায় তার সঙ্গে পাকিস্তানের কেউ নেই। সেইসময় পাক দূতাবাসের অফিসার আমাকে অনুরোধ করলেন আমি যেন ওই পাক তরুণীকে সীমান্তে পৌঁছে দিই। ওই কথা শুনে ওই পাক ছাত্রীকে নিয়ে ৫ কিলোমিটার হেঁটে এক ট্রেন স্টেশনে পৌঁছই। কিন্তু ট্রেনে এত ভিড় ছিল যে উঠতেই পারিনি। সৌভাগ্যবশত একটা ট্রেনে শেষপর্যন্ত জায়গা পেয়ে যাই। কিন্তু তাতে কোনও সিটই খালি ছিল না। বাধ্য হয়েই আমার মেঝেতেই বসে পড়ি। ওইভাবেই আমরা রোমানিয়ার দিকে যাত্রা করি। 


আরও পড়ুন-Russia-Ukraine War: প্রাণ হাতে নিয়ে পাক ছাত্রীকে রোমানিয়া সীমান্তে পৌঁছে দিলেন ভারতীয় তরুণ


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)