নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত, প্রদ্যুম্ন খুনে সাবালক হিসেবে বিচার হবে অভিযুক্ত কিশোর ছাত্রের
জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড জানিয়ে দিল অভিযুক্তের বিচার নাবালক হিসেবে হবে না। ফলে ওই মামলা পাঠানো হচ্ছে গুরুগ্রাম জেলা আদালতে
নিজস্ব প্রতিবেদন : নাবালক অভিযুক্তের বিচার এবার সাবালকদের আইনে। দিল্লির রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর খুনে অভিযুক্ত ছাত্রের বিচার জুভেনাইল আইনে হবে না। বুধবার এমনটাই জানিয়ে দিল জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড।
উল্লেখ্য, প্রদ্যুম্ন হত্যায় অভিযুক্ত স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। বয়স ১৬ বছর। কিন্তু অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে বুধবার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড জানিয়ে দিল অভিযুক্তের বিচার নাবালক হিসেবে হবে না। ফলে ওই মামলা পাঠানো হচ্ছে গুরুগ্রাম জেলা আদালতে। শুনানি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর।
নির্ভায়াকাণ্ডের পর জুভেনাইল আইনে যে বদল হয়েছে সেখানে বলা হয় নাবালক যদি সাবালকদের মতো হিংস্র অপরাধ করে তাহলে তার বিচারের সময়ে তাকে আর নাবালক হিসেবে গণ্য করা হবে না। এনিয়ে বলতে গিয়ে প্রদ্যুম্নের আইনজীবী সুশীল তেকরিওয়াল সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিচারের সময়ে অভিযুক্তকে সাবালক হিসেবেই গণ্য করা হবে।
প্রসঙ্গত গত ৮ সেপ্টেম্বর দিল্লির রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের টয়লেটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে। গলার নলি কাটা অবস্থায় তার দেহ মেলে। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে গুরুগ্রাম পুলিস প্রথমে স্কুলের এক গাড়িচালককে গ্রেফতার করে। পরে সিবিআই তদন্ত করে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে ধরে। শেষবারের মতো তাকে টয়েলেটের সামনে প্রদ্যুম্নের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। সিসিটিভির ফুটেজ ঘেঁটে তা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
স্কুলের পিয়ানো ক্লাস থেকেই ওই দুজনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সিবিআইয়ের জেরায় অভিযুক্ত খুনের যে কারণ বলেছে তা আঁতকে ওঠার মতো। স্কুলের পেরেন্ট-টিচার মিটিংয়ের তারিখ পিছিয়ে দিতেই সে নাকি খুন করেছিল। তার ধারণা ছিল, ও রকম মারাত্মক ঘটনা ঘটলে স্কুল ছুটি হয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে স্কুলের পরীক্ষার সূচিও বদলে যাবে। সংবাদ মাধ্যমের খবর, তদন্তে উঠে এসেছে একবার অভিযুক্ত ছাত্রটি স্কুলের জলের ট্যাঙ্কে বিষ মিশিয়ে দেওয়ারও পরিকল্পনা করেছিল। বোর্ড মনে করছে যে অপরাধ অভিযুক্ত ছাত্রটি করেছে তাতে সে অপরাধের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত।