নিজস্ব প্রতিবেদন : জল্পনা, আলোচনা, ঠান্ডা লড়াই- আর নয়। এবার সম্মুখ সমর। বৃহস্পতিবার নিজেরই দলের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আইনি লড়াইয়ে নামলেন সচিন পাইলট। আর এই যুদ্ধে তাঁর সারথি নির্বাচনই যেন বেশ ইঙ্গিতবাহী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোর্টের যুদ্ধে পাইলটের সারথি, অর্থাত্ আইনজীবী মুকুল রোহতগী। জানিয়ে রাখি, ২০১৪ সালে যখন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে, তার পরেই মুকুল রোহতগী অ্যাটর্নি জেনারেল হন। যদিও ৩ বছর পর অবসর ও ইচ্ছা হলে প্রাইভেটে প্র্যাকটিস করার কথা জানান তিনি। সুতরাং মুখে পাইলট বিজেপি বিতৃষ্ণার কথা বললেও তাঁর আইনজীবী নির্বাচনকে কিন্তু অনেকেই সরলভাবে দেখছেন না। 


দল থেকে অন্যায়ভাবে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে- এই অভিযোগই সামনে এনেছেন পাইলট। শুক্রবারের মধ্যেই নিজেদের 'দল বিরোধী' কার্যকলাপের বিপক্ষে যুক্তিযত ব্যাখ্যা দিন, নয় তো পদ খোয়াতে হবে, জানিয়ে দিয়েছেন স্পিকার সিপি জোশীও। এমনই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আইনি লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়লেন পাইলট।


পাইলট বিদ্রোহে তাঁর 'কো-পাইলট' ২০ জন বিধায়ক ও তাঁকে প্রায় সবরকমভাবেই নোটিস পাঠিয়েছে কংগ্রেস। এসএমএস, হোয়াটস্যাপ, ই-মেল, চিঠি এমনকি বাড়ির দেওয়ালে হিন্দি ও ইংরেজিতে নোটিস সাঁটিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। 


টিম গেহলটের দাবি, বিজেপির প্ররোচনায় ঘটছে পুরোটাই। টাকা দিয়ে ঘোড়া কেনা-বেচা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁদের। রাজস্থান কংগ্রেসের দাবি, পাইলটের অনুগামী বিধায়করা একই পথে হাঁটলে যে গেহলট সরকারের টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে, তা ভাল করেই জানে বিজেপি। 


রাজস্থানে বিধানসভায় ২০০টি আসন। তাতে গেহলটের দাবি অনুযায়ী ১০৬ জনের আপাতত সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে পাইলটের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন ২০ জন বিধায়ক।


আবার, বিজেপির রাজস্থানে ৭৩ জন বিধায়ক। অন্তত ৩৩ জন আরও চাই ক্ষমতা পেতে। পাইলটের মাধ্যমেই সেই লক্ষ্যে বিজেপি এগচ্ছে বলে দাবি কংগ্রেসের। দিল্লিতে পাইলটের অনেক বিজেপি-যোগের প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি তাঁদের।


যদিও এই দাবি-তত্ত্ব ভিত্তিহীন বলে বুধবার উড়িয়ে দিয়েছেন পাইলট। "আমি বিজেপিতে যাচ্ছি না। গান্ধী পরিবারের সামনে আমাকে দোষী সাজাতে এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে," বলেন তিনি। "যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়েছি, সেখানে যোগ দেব?" প্রশ্ন তোলেন পাইলট। "আমি কংগ্রেসেই আছি," সাফ জানিয়ে দেন তিনি।


যদিও বৃহস্পতিবার তাঁর আইনজীবীর নাম দেখে যেন একটু 'গেরুয়া' মেঘ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। বিজেপি সরকার আসার পর অ্যাটর্নি জেনারেল হওয়া মুকুল রোহতগীকেই কেন বাছল পাইলট শিবির? প্রশ্ন তাঁদের। 


যদিও পাল্টা লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ গেহলট। আর সেই কারণে তিনিও বের করেছেন তাঁর তুরুপের তাস। টিম গেহলটের আইনজীবীর গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিষেক মনু সিংভীকে।


প্রতিদিনই যেন আরও নতুন নতুন মোড় আসছে রাজস্থানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। আর তাতে শেষমেষ গেহলট-পাইলটের অবস্থান কোথায় দাঁড়ায়, এখন সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন : ব্যান্ড পার্টি নিয়ে অপরাধীর বাড়িতে হাজির পুলিস! কাণ্ড দেখে অবাক পাড়া-প্রতিবেশি