জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বুধবার পাত্র চল পুনর্নির্মাণ প্রকল্প সংক্রান্ত একটি মানি লন্ডারিং মামলায় জামিন পেয়েছেন। ১,০৩৪ কোটি টাকার পাত্র চল জমি কেলেঙ্কারির মামলায় ছয় ঘণ্টার বেশি জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি তাকে গ্রেফতার করেছিল। রাউতের সহযোগী এবং প্রধান অভিযুক্ত প্রবীণ রাউতকেও মুম্বইয়ের একটি বিশেষ আদালত জামিন দিয়েছে। রাউত তার জামিনের আবেদনে দাবি করেছিলেন যে তার বিরুদ্ধে মামলাটি ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ এবং ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ একটি নিখুঁত উদাহরণ। তিনি বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে মুম্বইয়ের আর্থার রোড কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইডি রাউতের আবেদনের বিরোধিতা করেছিল। তাঁরা বলে যে তিনি পাত্র চল পুনর্নির্মাণ সংক্রান্ত অর্থ তছরুপ মামলায় একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁরা আরও বলে যে এই অর্থের সঙ্গে সংযোগ এড়াতে ‘পর্দার আড়ালে’ কাজ করেছিলেন।


ইডির তদন্ত পাত্র চলের ​​পুনর্নির্মাণে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এবং সঞ্জয় রাউতের স্ত্রী এবং সহযোগীদের সঙ্গে জড়িত আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সম্পর্কিত।


গোরেগাঁওয়ের পাত্র চল ৪৭ একর জুড়ে বিস্তৃত এবং এখানে ৬৭২ টি ভাড়াটিয়া পরিবার রয়েছে। ২০০৮ সালে, মহারাষ্ট্র হাউজিং অ্যান্ড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (MHADA), একটি সরকারী সংস্থা, হাউজিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (HDIL)-এর সহকারি কোম্পানি গুরু আশিস কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড (GACPL) কে চলের জন্য একটি উন্নয়ন চুক্তি দেয়।


GACPL-এর ভাড়াটেদের জন্য ৬৭২টি ফ্ল্যাট তৈরি করার কথা ছিল এবং MHADA-কে কিছু ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা ছিল। বাকী জমি বেসরকারী ডেভেলপাররা বিক্রি করতে পারত।


আরও পড়ুন: ললিতের আসনে চন্দ্রচূড়, ৫০ তম প্রধান বিচারপতি পেল দেশ


কিন্তু ভাড়াটেরা গত ১৪ বছরে একটিও ফ্ল্যাট পাননি কারণ কোম্পানিটি পাত্র চল পুনর্নির্মাণ করেনি এবং ১,০৩৪ কোটি টাকায় অন্যান্য বিল্ডারদের কাছে জমির পার্সেল এবং ফ্লোর স্পেস ইনডেক্স (এফএসআই) বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছে ইডি।


৩১ মার্চ, ২০২২ সালে ডিএইচএফএল-এর প্রমটার সারং এবং রাকেশ ওয়াধওয়ান সহ প্রবীণ রাউত এবং তার কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট জমা করা হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে, সংস্থাটি সঞ্জয় রাউতের বিরুদ্ধে একটি সাপ্লিমেনটারি চার্জশিট জমা করেছিল। প্রবীন রাউতের বিরুদ্ধেও কিছু অভিযোগ করা হয়।


প্রবীন রাউতের বিরুদ্ধে ১১২ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ১.০৬ কোটি টাকা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে সঞ্জয় রাউত এবং তার স্ত্রী বর্ষা রাউতকে দেওয়া হয়েছিল।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)