নিজস্ব প্রতিবেদন: কাজ প্রত্যাশামতোই এগোচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎই মাটির নীচে বালি ও জলের হদিস। নরম সেই মাটিতে এত বিপুল স্থাপত্য গড়ে তোলা যাবে কিনা, তা নিয়ে এবার চিন্তায় পড়ল মন্দিরকমিটি। তড়িঘড়ি চেয়ে পাঠানো হল আইআইটি'র পরামর্শ।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রামায়ণপাঠক মাত্রেই জানেন, অযোধ্যায় বয়ে যেত সরযূ নদী। সেই সরযূ আজও আছে। তবে তার অবস্থা মোটেই ভাল নয়। বর্তমানে আগের চেয়ে বদলেছেও তার গতিপথ। আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে গিয়েছে নদীজলধারা। 


কিন্তু ২০২৩ সালের মধ্যেই তৈরি করে ফেলার লক্ষ্য নিয়ে চলা প্রস্তাবিত রামমন্দিরের নীচেই যে মিলবে সরযূর জলবালিমাটি, কে জানত! বিষয়টিকে জায়গাটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের প্রমাণ হিসাবেই তুলে ধরা হচ্ছে। তবে এর ফলে নতুন স্থাপত্যে ধস নেমে প্রস্তাবিত মন্দিরের ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা একাংশের।


বিষয়টি নজরে আসতেই অযোধ্যার রামমন্দির (Ram Temple) ট্রাস্টের তরফে 'ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি' (IITs)-গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে, প্রস্তাবিত মন্দিরের জন্য সুনির্দিষ্ট জমির নীচে সরযূর (Saryu river) স্রোত পাওয়ার ফলে আরও উন্নত ও মজবুত কোনও মডেল তৈরির করা। মঙ্গলবার নৃপেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বাধীন মন্দির নির্মাণ কমিটির বৈঠকে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলেও খবর। এর পরেই 'শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টে'র (Shri Ram Janambhoomi Teertha Kshetra) তরফে জানানো হয়, মন্দিরের শক্তিশালী পরিকাঠামো তৈরির জন্য আইআইটিগুলিকে আরও ভাল মডেল পেশ করতে বলা হয়েছে।


এ প্রসঙ্গে ট্রাস্টসূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকটি পিলার ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২৫ ফুট নীচে বসানোর ২৮ দিন পরে সেগুলির পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল। আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। দেখা যায়, যেখানে পিলারগুলি বসানো হয়েছে, তার পাশেই নদীর জল ও মাটির স্তর। ফলে নরম মাটি মন্দিরের স্থাপত্যকে ধরে রাখতে পারবে না বলে আশঙ্কা করা হয়। বিশেষজ্ঞেরা এখন তাই নতুন ও উন্নত কোনও প্রযুক্তির সন্ধান করছেন।


Also Read: Nagaland-কে উপদ্রুত এলাকা হিসেবে ঘোষণা কেন্দ্রের, আগামী ৬ মাস জারি থাকবে AFSPA