নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বামী এম নটরাজন অসুস্থ, লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে, তাই ১৫ দিনের প্যারোলের আবেদন করলেন ভিকে শশীকলা। এনডিটিভি'র খবর অনুযায়ী 'চিনাম্মা'র স্বামী এম নটরাজন দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ। কয়েকদিনের মধ্যেই চেন্নাইয়ের একটি নামী হাসপাতালে লিভার প্রতিস্থাপন হবে তাঁর। সূত্রের খবর, ৭৪ বছর বয়সী এম নটরাজনই নাকি স্ত্রী শশীকে দেখতে চেয়ে বেঙ্গালুরুর জেলে খবর পাঠিয়েছেন। স্বামীর ইচ্ছে রাখতেই এবার ১৫ দিনের জন্য প্যারোলের আবেদন জানালেন দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তথা বহিষ্কৃত এআইএডিএমকে নেত্রী ভিকে শশীকলা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ভিকে শশীকলা বেঙ্গালুরুর জেলে বন্দি। দুর্নীতি মামলায় তামিল নেত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেছে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়। তারপর থেকেই কারাবন্দি হয়ে রয়েছেন 'চিনাম্মা'। কয়েকদিন আগেই জেলে তাঁর 'বিলাসবহুল' জীবনযাপন নিয়ে সরগরম হয়েছিল সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এবার আরও একবার 'মান্নানগুড়ির মাফিয়া' নেতা হিসেবে পরিচিত এম নটরাজনের অসুস্থতার কথা জানিয়ে প্যারোলের আবেদন জানিয়েছেন শশীকলা শিরোনামে এলেন তিনি।। 


আরও পড়ুন- এবার নতুন চাকরি, সিবিএসসি পরীক্ষায় লাগবে আধার কার্ড


১৯৭৩ সালে শশীকলার সঙ্গে বিয়ে হয় এম নটরাজনের। এরপর শশীকলার হাত ধরেই তামিলনাড়ুর সরকারি পদে বহাল তবিয়েতে রাজ করেন এই 'মাফিয়া নেতা'। অস্থায়ী জনসংযোগ আধিকারিক হিসেবেই কাজ করতেন এম নটরাজন। যদিও ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বেকার হিসেবেই থাকতে হয় তাঁকে। ১৯৮৭ সালে এআইএডিএমকে প্রতিষ্ঠাতা এমজিআরের মৃত্যুর পর শশীকলার সঙ্গেই জয়ললিতার পোয়েস গার্ডেনে এসে থাকতে শুরু করেন এম নটরাজন। যদিও প্রাক্তন তামিল মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার সঙ্গে কখনই সুসম্পর্ক গড়ে ওঠেনি এই মাফিয়া নেতার। এমনকী জমি দখল মামলায় জয়ললিতার সরকারই এম নটরাজনকে কারাবন্দি করে। এরপর জয়ললিতার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত পোয়েস গার্ডেনেও ঢুকতে পারেননি শশীকলার স্বামী। এবার তাঁর শরীর খারাপের বিষয়কে সামনে রেখেই প্যারোলের আবেদন জানালেন শশীকলার।