নিজস্ব প্রতিবেদন- আজ সকালেই জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁওতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুজন জঙ্গি মারা পড়েছে। গত কয়েক মাসে উপত্যকায় একের পর এক অপারেশন চালিয়েছে সেনা-সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের যৌথ বাহিনী। জঙ্গি সংগঠনের একের পর এক নেতাকে খতম করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে তাতেও যেন উপত্যকায় শান্তি বিরাজ করছে না। আর তার পিছনে যে পাকিস্তানের গভীর চক্রান্ত রয়েছে তা মোটামুটি সবারই জানা। বছরের পর বছর ধরে সীমান্ত দিয়ে ভারতে জঙ্গি প্রবেশ করাচ্ছে পাকিস্তান। আর এমন জঘন্য ঘটনার পিছনে পাক সেনার প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। এর আগেও বহুবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের এমন নক্কারজনক কাজের প্রমাণ দিয়েছে ভারত। আরো একবার পাকিস্তানের কুকীর্তি ক্যামেরাবন্দি হল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ কমেছে অনেকটাই। আর উপত্যকার শান্ত পরিবেশ কিছুতেই পছন্দ হচ্ছে না পাকিস্তানের। তাই উপত্যকায় নতুন করে সন্ত্রাস ছড়ানোর ছক কষছে তারা। এদিন উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, কিষেন গঙ্গা নদীর কাছাকাছি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অন্তত আড়াইশো জঙ্গি অপেক্ষা করছে। সুযোগ বুঝে ভারতে ঢোকার জন্য তারা তৈরি। উপগ্রহ চিত্রে ওই এলাকায় জঙ্গিদের কার্যকলাপ ধরা পড়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রায় আড়াইশো জন জঙ্গি সীমান্তবর্তী লঞ্চপ্যাড-এ অপেক্ষা করছে। কিন্তু কোনোভাবেই ভারতীয় সেনার কড়া নজর এড়িয়ে ভারতে ঢুকতে পারছে না। তবে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ার পর জঙ্গিদের খোঁজে নেমেছে ভারতীয় সেনা। তড়িঘড়ি তরফ অ্যাকশন শুরু হয়েছে। ওই এলাকায় ব্যাপক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন-  ''সেনার বুলেটপ্রুফ ট্রাক নেই! প্রধানমন্ত্রীর জন্য আসছে ৮৪০০ কোটি টাকার বিমান''



গতকালই উত্তর কাশ্মীরের কেরান সেক্টর থেকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। জঙ্গি ঘাঁটি থেকে ব্যাপক অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। একে ৭৪ রাইফেল ছাড়াও আটটি ম্যাগাজিন, গোলাগুলি উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। উপগ্রহ চিত্রে জঙ্গিদের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর থেকে সীমান্তে আরো বেশি নজরদারি শুরু করেছে বাহিনী। সামনে উৎসবের মরসুম। করোনার আবহে এবার দেশে উৎসবের আড়ম্ভর তেমন না হলেও মানুষ আনন্দে মেতে থাকবে। আর এই সময় নাশকতার ছক কষতে পারে জঙ্গি সংগঠনগুলো। তাই নিরাপত্তা বাহিনী আরো বেশি সজাগ হয়ে রয়েছে।