নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষায় রাজ্যপালের দেওয়া ১৫ দিনের সময়সীমা খারিজ করে ইয়েদুরাপ্পাকে নতুন সময় ঠিক করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, শনিবার বিকেল চারটেয় আস্থাভোটে শক্তির পরীক্ষা দিতে হবে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীকে। সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ে আপত্তি জানিয়ে কয়েকদিন সময় চেয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রহতোগি। তবে সেই আপত্তিতে আমল দেয়নি আদালত। কংগ্রেসের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ''ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই সময়ের মধ্যে কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না ইয়েদুরাপ্পা।'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 




সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বিজেপি নেত্রী শোভা কারানজালে বলেন,''সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিধানসভায় আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।''



কংগ্রেসের আইনজীবী অশ্বিনী কুমার বলেন, ''সুপ্রিম কোর্টের রায় সাংবিধান ও গণতন্ত্রের মর্যাদা রেখেছে। এই রায় উজ্জাপন করা উচিত। সুপ্রিম কোর্টের উপরে মানুষের ভরসা আরও দৃঢ় হল। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করতে চেয়েছিল, তাদের জন্য এটা বড়সড় ধাক্কা।''



এদিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল জবাব পর্বে বিজেপির আইনজীবী মুকুল রহতোগি জানান, ইয়েদুরাপ্পা বৃহত্তম দলের নেতা। তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় বিধায়ক রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চ জানতে চায়, কীসের ভিত্তিতে স্থায়ী সরকার গঠনের জন্য একটা দলকে আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যপাল? রহতোগি জানান, এই পরিস্থিতিতে এব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না। তিনি আরও দাবি করেন, অন্য দলের কাছেও বিধায়কদের স্বাক্ষরপত্র নেই।






কংগ্রেস-জেডিএসের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন,''বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করছেন ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু বিধায়কদের লিখিত বা মৌখিক সমর্থন তাঁর কাছে নেই।'' পাশাপাশি কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়কদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবিও করেন তিনি। তখন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সে জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে। এরপরই শনিবার ইয়েদুরাপ্পাকে শক্তিপরীক্ষার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তখন আরও কয়েকদিন সময় চেয়ে আর্জি করেন মুকুল রহতোগি। তবে তা খারিজ করে দেয় আদালত। 





 


কর্ণাটকে ২২২টি আসনে বিধানসভা ভোটের ফলে ম্যাজিক সংখ্যার আগে থমকে যায় বিজেপি। ১০৪ আসন নিয়ে বৃহত্তম দল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে জেডিএসের কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ দিয়ে জোট সরকার গঠনের প্রস্তাব দেয় কংগ্রেস। রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের আর্জি করেন কুমারস্বামী। বৃহত্তম দল হিসেবে একই দাবি করেন ইয়েদুরাপ্পা। শক্তিপরীক্ষার জন্য তাঁকে ১৫ দিনের সময় দেন রাজ্যপাল। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস-জেডিএস। মধ্যরাতের শুনানিতে ইয়েদুরাপ্পার শপথগ্রহণে স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সকাল নটা নাগাদ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। 


আরও পড়ুন- মোদী সরকার-আরএসএস-কে আক্রমণ করতে গিয়ে পাকিস্তানের তুলনা টানলেন রাহুল