নিজস্ব প্রতিবেদন: নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের। শনিবার কেজি বোপাইয়াই আস্থাভোট করবেন বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে  আস্থাভোট প্রক্রিয়া সব বৈদ্যুতিন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারের নির্দেশ দিল আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, প্রোটেম স্পিকার কাকে নিয়োগ করবে রাজ্যপাল, সে ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দিতে পারে না আদালত। প্রোটেম স্পিকার নিয়োগ নিয়ে কোনও সাংবিধানিক আইন নেই। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত আইনবিরুদ্ধ কিনা, তা প্রমাণ করতে সময়সাপেক্ষ। সুপ্রিম কোর্টের আগের নির্দেশ অনুযায়ী, শনিবার বিকেল ৪টে-র মধ্যে আস্থাভোট করাতে হবে। সেক্ষেত্রে বিরোধীদের দাবি খারিজ করে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিল আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- আস্থায় অ্যাডভান্টেজ পেতে 'আস্থাভাজন'কে প্রোটেম স্পিকারের দায়িত্ব রাজ্যপালের


আস্থাভোটের মাঝেই প্রোটেম স্পিকার নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয় কর্ণাটকের রাজনৈতিক শিবিরে। শুক্রবার বিজেপি বিধায়ক কেজি বোপাইয়াকে প্রোটেম স্পিকার পদে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল বাজুভাই বালা। বোপাইয়াকে প্রোটেম স্পিকার করায় বিরোধিতা করেন কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। অভিযোগ, রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট হিসাবে কাজ করছেন। কিন্তু বোপাইয়াকে প্রোটেম স্পিকার করা নিয়ে এত বিতর্ক কেন?


আরও পড়ুন- গোয়া, মণিপুরে সরকার গঠনের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের দরজায় কংগ্রেস-আরজেডি


ক্ষমতা অপব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে বোপাইয়ার বিরুদ্ধে। এর আগে কিছু বিধায়কদের উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিলেন বোপাইয়া। পরে এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দেয়। এবারেও তিনি প্রোটেম স্পিকারের পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, ইয়েদুরাপ্পা পক্ষে ধ্বনিভোট করিয়ে আস্থা আছে বলে ঘোষাণা করে দিতে পারেন তিনি। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বোপাইয়া যদি এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তাহলে ফের সুপ্রিম কোর্টে ছুটবে বিরোধীরা। আর সেই ফয়সলা হতে সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাদের। এর মধ্যে বিরোধী বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করতে সক্ষম হবে বিজেপি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন- কর্ণাটকে অচলাবস্থার মাঝেই আইপিএস, আইএএসদের বদলির সিদ্ধান্ত ইয়েদুরাপ্পার