নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি কিংবা বেসরকারি ল্যাবরেটরি- নিখরচায় করোনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে। কেন্দ্রকে অন্তবর্তী নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শুধু তাই নয়, বেসরকারি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হলে, তার খরচ যাতে পরে দিয়ে দেওয়া হয়, সে ব্যবস্থাও করতে হবে কেন্দ্রকেই।
দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ক্রমেই কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে চ্যালেঞ্জ। ২ মার্চ যেখানে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫। এক মাসের মধ্যেই তা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। জমায়েত এড়ানো, লকডাউন- করার সত্ত্বেও বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। WHO-র মতে, যত বেশি টেস্ট করা যাবে, ততই বেশি এড়ানো সম্ভব হবে এই ভাইরাসকে।
বর্তমানে বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষা করাতে খরচ হয় সাড়ে চার হাজার টাকা। দেশের প্রত্যেক পরিবারের পক্ষে তা করা সম্ভব নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লকডাউনের মধ্যেও স্বস্তি করদাতাদের, ৫ লাখ পর্যন্ত আয়কর রিফান্ডের টাকা মিটিয়ে দেবে কেন্দ্র


সেক্ষেত্রেই পদক্ষেপ করল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়ে বলেছে,
এমন একটি পরিকাঠামো তৈরি করা হোক, যাতে বেসরকারি ল্যাবগুলি COVID 19 পরীক্ষা করার জন্য বাড়তি টাকা দাবি করতে না পারে।
বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার জন্য যে টাকা খরচ হবে, তা যেন কেন্দ্র পরে মিটিয়ে দেয়।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি শশাঙ্ক দেও সুফি নামে এক ব্যক্তি মামলা করেন। তাঁর আবেদন, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলায়, বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলি সুবিধা নিচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তাঁরা বাড়তি টাকা দাবি করছে। তাই বেসরকারি ল্যাবেও নিখরচায় করোনা পরীক্ষা করার দাবি করেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে সরকারের হয়ে সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, করোনা পরীক্ষায় ঠিক কতগুলি পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রয়োজন হতে পারে, তা নিয়ে সরকার এখনও নিশ্চিত নয়। একটি তথ্য দিয়ে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ১১৮টি ল্যাবে প্রত্যেকদিন ১৫ হাজার করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য বেসরকারি ৪৭টি ল্যাবকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে নয়া পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ।