জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্কুলের শিক্ষা অন্ধবিশ্বাস মুক্ত করে। কিন্তু শিক্ষার মান বাড়লেও চিন্তাধারার কি আদৌ উন্নতি হয়েছে? এখনও দেশের কোথাও কোথাও মন্ত্র-তন্ত্রের উপর অন্ধবিশ্বাস করে থাকে। যদিও এইধরণের প্রচলন গ্রামগঞ্জে শোনা যায়। কিন্তু এবার এই তন্ত্র-মন্ত্রের উপর অন্ধবিশ্বাস স্কুলেরই শিক্ষকদের। তার জেরে ঘটল ভয়ংকর ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, স্কুলের সাফল্য এবং খ্যাতি আনার জন্য ক্লাস টু-র এক ছাত্রকে তন্ত্র-মন্ত্রের অংশ করে। শুধু তাই নয়, সেই আচারের ফল হিসাবে সেই নিষ্পাপ পড়ুয়াকে বলি দেওয়া হয়। পুলিস বৃহস্পতিবার স্কুলের ডিরেক্টর-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩জন শিক্ষক ছিল। ঘটনাটি ঘটে, সাহপাউনার সীমানায় রাসগাওয়ানের ডিএল পাবলিক স্কুল।


ঘটনার তদন্তে নেমে আরও ভয়ংকর তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, এর আগেও ওই ৫ অভিযুক্ত আর এক পড়ুয়াকে এই তন্ত্রের জন্য নিয়ে আসে। কিন্তু সেই পড়ুয়া বুঝতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পড়ুয়ার মৃতদেহ পাওয়া গেলে ডাক্তারি পরীক্ষায় শ্বাসরোধের লক্ষণ পাওয়া যায়। 



আরও পড়ুন:Arunachal Pradesh: বছরের পর বছর শিশুদের যৌন নির্যাতন! এই প্রথম পকসো'য় মৃত্যুদণ্ড...


পুলিশ তদন্তে জানা গিয়েছে যে স্কুলের ডিরেক্টর দিনেশ বাঘেলের বাবা কালো জাদু এবং তান্ত্রিক আচার-অনুষ্ঠানে বিশ্বাস করতেন এবং তার ছেলে এবং তিনজন শিক্ষকের সঙ্গে তারা বিশ্বাস করতেন যে একটি সন্তানকে বলিদান তাদের সাফল্য এবং খ্যাতি এনে দেবে।


হত্যার পিছনে অভিযুক্ত উদ্দেশ্য ছিল আর্থিক চাপের মধ্যে থাকা স্কুলের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। অভিযুক্তরা বিশ্বাস করেছিল যে মানব বলিদান স্কুলের সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে।


ডিএল পাবলিক স্কুলে প্রায় ৬০০ ছাত্র রয়েছে। এবং যে হস্টেলে ছেলেটিকে খুন করা করা হয়েছিল সেখানে ১ থেকে ২ শ্রেণী পর্যন্ত খুদে পড়ুয়ারা থাকে। নিহত ছাত্র দিল্লির একটি প্রাইভেট ফার্মের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কৃষাণ কুশওয়াহার ছেলে। গত সোমবার সকালে, হস্টেলের একজন স্টাফ এবং অন্যান্য ছাত্ররা তাঁকে বিছানায় নিথর অবস্থায় দেখতে পায়। অবিলম্বে মৃত্যুর খবর জানানোর পরিবর্তে, দীনেশ ছেলেটির দেহ তার গাড়িতে নিয়ে এবং আগ্রা এবং আলীগড়ে - কয়েক ঘন্টা ধরে গাড়ি চালিয়ে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।


পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মৃত পড়ুয়ার বাবা বলেন, 'আমার ছেলের স্কুল থেকে ফোন এসেছিল, আপনার সন্তানের অবস্থা খুবই গুরুতর। অনুগ্রহ করে দ্রুত আসুন। আমি যাওয়ার সময় তারা আবার ফোন করে বলল, 'বাচ্চাটির অবস্থা খারাপ হয়েছে, আমরা তাকে সাদাবাদে নিয়ে যাচ্ছি।' আমরা তাদের ফলো করলাম আগ্রার দিকে, কিন্তু তারা গাড়ি থামায়নি। আমরা যখন ফিরে আসি, তখন আমরা সাদাবাদে তাদের সঙ্গে দেখা করি, সেখানে আমরা তাদের গাড়িতে আমার ছেলে নিথর অবস্থায় শুয়ে আছে।'


হাতরাসের পুলিস সুপার নিপুন আগরওয়াল নিশ্চিত করেছে যে, পড়ুয়াকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)