নিজস্ব প্রতিবেদন : বাবা-মায়ের পর অভিভাবক তাঁরাই। কিন্তু এখন আর সেসব মূল্যবোধের দাম কোথায়! কোথাও শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনা! কোথাও আবার শিক্ষকের হাতে প্রহৃত শিক্ষার্থী! শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভালবাসার সম্পর্কের গল্প শোনা যেত এক সময়। এখন সেসব প্রায় অতীত। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকরা এখন আর আন্তরিক নন। শিক্ষকদের পাল্টা যুক্তি, শাসন করলে জোটে বঞ্চনা। তার থেকে পেশাদার হয়ে শিক্ষকতা করাই ভাল। কিন্তু সমাজের যে কোনও ক্ষেত্রে বিরল ঘটনা তো থাকেই। এ ঘটনাও তেমনই। এক শিক্ষকের বদলির খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ল গোটা স্কুলের খুদেরা। কাঁদলেন গ্রামবাসীরাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ভারতে দ্রুত হারে কমছে দারিদ্র, ভুটানে গিয়ে বললেন মোদী



মধ্যপ্রদেশের কটনী জেলার এক স্কুলের ঘটনা। প্রিয় স্যরের বদলির খবর শুনে তাঁকে জড়িয়ে কাঁদতে শুরু করল বাচ্চারা। কিছুতেই যেন প্রিয় শিক্ষককে ছাড়তে চায় না তারা। এদিকে, বাচ্চাদের মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে চোখ ভিজে যাচ্ছে স্যরের। এমন আবেগঘন মুহূর্ত আজকাল আর তেমন দেখা যায় না। একটা ভিডিয়ো যেন শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর ভালবাসা, শ্রদ্ধা, আন্তরিকতার সম্পর্কের জীবন্ত দলিল হয়ে রইল। 


আরও পড়ুন-  নিজেদের বাড়িই জলের তলায়, তবুও বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে মরিয়া পুলিসকর্মীরা



তিলমন গ্রামের মিডল স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক মঙ্গলদীন প্যাটেল। তিনি বাচ্চাদের মধ্যে দারুন জনপ্রিয়। তাঁর আচার-ব্যবহার, বাচ্চাদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার কায়দা, পড়া বোঝানের ধরণ এতদিন ধরে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু এবার সেই অঙ্ক স্যরের বদলি হল শহরের এক স্কুলে। শনিবার তিনি গ্রামের স্কুলে এসেছিলেন বাচ্চাদের সঙ্গে শেষবার দেখা করতে। তখনই বাচ্চারা তাঁকে ঘিরে ধরে। একের পর এক কচি-কাচা তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। বাচ্চাদের আবেগ দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি স্যর। স্কুলের সঙ্গে, বাচ্চাদের সঙ্গে যেন তাঁর আত্মার সম্পর্ক। এ বাঁধন কী আর এত সহজে ছিন্ন হয়! বাচ্চাদের একটা আবদার, ''স্যর আপনি আমাদের ছেড়ে যাবেন না।'' এমন দৃশ্য দেখে স্কুলের অন্য শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীরদেরও চোখে জল চলে আসে।