নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত বিজ্ঞানে তুচ্ছ নয়। সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি চন্দ্রযান-২-এর সফল উৎক্ষেপণ সে কথাই প্রমাণ করে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়। নবীন প্রজন্ম ও অভিভাবকরা আস্থা রাখুক দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে। সোমবার জি ২৪ ঘণ্টাকে জানালেন বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চন্দ্রযান-২ অভিযান প্রসঙ্গে বিকাশবাবু বলেন, "এর আগে কোনও দেশের যান চাঁদের এই অংশে পৌঁছয়নি। ভারত চাঁদের মাটি ছুঁতে পারলে মহাকাশবিজ্ঞান দেশ বড় সাফল্য পাবে।" ইসরোর মহাকাশবিজ্ঞানীদের কুর্ণিশ জানালেন তিনি। যেভাবে গোলযোগ হওয়ার পরে এক সপ্তাহের মধ্যেই রকেটটি সারিয়ে তোলা হয়েছে, তার প্রশংসা করলেন তিনি। ভারতবাসী হিসাবে নিজের আবেগের কথাও তুলে ধরলেন প্রবীণ বিজ্ঞানী। তিনি বললেন, "ভারত বিশ্বে মহাকাশবিজ্ঞানে নজির সৃষ্টি করছে।  ভারতীয় হিসাবে আজ আমি ভীষণই আনন্দিত"।


এর পাশাপাশি নবীন প্রজন্মকে বার্তা দেন বিকাশবাবু। তিনি মনে করিয়ে দেন, ভারতের বিজ্ঞান ও গবেষণাকে হেয় করার মধ্যে কোনও যুক্তি নেই। "ভারতে কিছু হয় না", এই জাতীয় মানসিকতার বিরোধিতা করেন তিনি। তিনি বলেন, "এখানে কিছুই হয়না, এই নেতিবাচক মনোভাব বিসর্জন দিতে হবে।" 


আরও পড়ুন : মাত্র ১ দিনেই রকেটের ত্রুটি সারিয়ে ফেলেছিলেন বিজ্ঞানীরা, সফল উৎক্ষেপণের পর জানালেন ইসরো প্রধান


সাফল্যের নজির হিসাবে গোটা বিশ্বে বন্দিত ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নাম তুলে ধরেন তিনি। বলেন, "এখানেই সত্যেন্দ্রনাথ বসু থেকেছেন, মেঘনাদ সাহা ও বিক্রম সারাভাইও এখানেই থেকেছেন।" ভারতের বিজ্ঞানে সাফল্যের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। জানান, এখান থেকেই রকেট উড়েছে, এখানেই হাইড্রোজেন বোম ফাটানো হয়েছে। তাই ভারতের প্রযুক্তিকে কম শক্তিশালী মনে করার কোনও কারণ নেই। 


এজন্য অভিভাবকদের মানসিকতায় বদল আনতে বলেন তিনি। অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, "সন্তানদের মানুষ করে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে আমেরিকায় পাঠালেই যেন জীবন সার্থক। এই মনোভাব ছাড়তে হবে।" বিকাশবাবুর মতে, কুড়ি বছর পর বসবাসের জন্য আমেরিকার থেকে ভারত অনেক বেশি ভাল দেশ হবে। ভারত যে অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ দেশ, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। তাই বিদেশে না গিয়ে ভারতের প্রতি আস্থা রাখতে বলেন তিনি। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন,"১২ বছর ভারতের বাইরে ছিলাম। দেশে ফিরে আমার কোনও আক্ষেপ হয়নি। বরং আনন্দেই আছি। ছেলেমেয়েদের বোঝাতে হবে এটা।"