নিজস্ব প্রতিবেদন: বাজার খুলতেই সেনসেক্স পড়ে ৪০০ পয়েন্ট। দুপুর ১২ টা নাগাদ দাঁড়ায় ৬০০ পয়েন্টে। ঘণ্টা দুয়েক পর আরও পতন দেখা যায়। প্রায় ৯০০ পয়েন্ট সেনসেক্স পড়ে। যা দ্বিতীয় মোদী জমানা তো বটেই, গত নয় মাসে এই প্রথম এতবড় পতন দেখা গেল শেয়ার বাজারে। বাজার যখন বন্ধ হয় সেনসেক্স কিছুটা সামলে নিয়ে দাঁড়ায় ৭৮০ পয়েন্টে। এই ছিল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট পেশের পর প্রথম দিনের শেয়ার বাজার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নির্মলার বাজেট যে দেশি ও বিদেশি লগ্নিকারিদের খুশি করতে পারেনি, তা আজকের বাজারের অবস্থাই স্পষ্ট করে দেয়। শুক্রবার দিন বাজেট পেশের আগে ৪০ হাজার ছুঁয়েছিল সেনসেক্স। পূর্ণ মেয়াদের দেশের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রীর থেকে নতুন কিছু হয়ত আশা করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু বাজেটে পেশের পর পরই শেয়ার বাজার মুষড়ে পড়ে। এ দিন পেট্রল-ডিজেলে ২টাকা সেস ও শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। যার জেরে গাড়ি শিল্পে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলবৃদ্ধি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।


আরও পড়ুন- কর্নাটক সরকারের ভাঙন অব্যাহত, সমর্থন তুলে নিলেন এক নির্দল বিধায়ক, প্রতারক মোদী-শাহ, বললেন সিদ্দারামাইয়া


আগামী পাঁচ বছরে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি ঘোষণা করলেও বিনিয়োগের স্পষ্ট দিশা দেখাতে পারেননি সীতারামন। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রাজকোষের ঘাটতি বেড়ে চলতি বছরে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে গেলে নির্ধারিত জিডিপি ছুঁতে কতটা সমর্থ হবে মোদী সরকার এ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। নির্মলা এ দিন ঘোষণা করেন, লগ্নিকারিরা এ বার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নূন্যতম শেয়ার রাখতে পারবেন। এতে শেয়ারের জোগান বাড়লেও, দাম বাড়ার পরিপন্থী হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য আগেই এই পরিমাণ ছিল ২৫ শতাংশ।


এ দিন ব্যাঙ্ক, অটো, তথ্য ও প্রযুক্তি, তেলের শেয়ারে ব্যাপক ধস নামে। ব্যাঙ্ক, তথ্য ও প্রযুক্তি, অটো সেক্টরের শেয়ার দর উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে  পড়ে। মন্দা বাজারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে ইয়েস ব্যাঙ্ক, এইসিএল টেক, ভারতী ইনফ্রাটেল, টিসিএস ইত্যাদি শেয়ার।