সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা সাইরাস মিস্ত্রির, স্থগিত টাটার শীর্ষ পদে ফেরার প্রক্রিয়া
২০১৬-এর অক্টোবরে সাইরাস মিস্ত্রিকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টর্স।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক আগে জানা গিয়েছিল যে, টাটা সন্সের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যানের পদে নাকি ফিরছেন সাইরাস মিস্ত্রি। কিন্তু শুক্রবার NCLAT (ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপেলেট ট্রাইবুনাল)-এর নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পর আপাতত স্থগিত হয়ে গেল টাটার শীর্ষ পদে সাইরাস মিস্ত্রির ফেরার প্রক্রিয়া। ধাক্কা খেলেন সাইরাস মিস্ত্রি।
এক সপ্তাহ আগেই ‘ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপেলেট ট্রাইব্যুনাল' বা এনসিএলএটি রায় দিয়ে জানিয়েছিল, সাইরাস মিস্ত্রির অপসারণ বেআইনি। টাটা সন্সের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাঁকে বেআইনি ভাবে সরানো হয়েছিল। পাশাপাশি, ওই পদে নটরাজন চন্দ্রশেখরনের নিয়োগকেও বেআইনি ঘোষণা করেছিল NCLAT। তারপরই টাটা সন্সের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যানের পদে সাইরাস মিস্ত্রির প্রত্যাবর্তনের পথ প্রশস্ত হয়েছিল। কিন্তু NCLAT-এর ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় টাটা গোষ্ঠী। আর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ফের ব্যাকফুটে চলে গেল টাটা সন্সের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যানের পদে সাইরাস মিস্ত্রির ফেরার সম্ভাবনা।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে রতন টাটা তাঁর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর টাটা গ্রুপের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান হন সাইরাস মিস্ত্রি। এর পর ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত টাটা সন্সের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলান সাইরাস মিস্ত্রি। ২০১৬-এর অক্টোবরের পর তাঁকে সেই পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টর্স।
আরও পড়ুন, জম্মু-কাশ্মীরে অবিলম্বে চালু করতে হবে ইন্টারনেট; কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
তারপর থেকেই টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে সাইরাস মিস্ত্রির আইনি যুদ্ধ চলছে। তিন বছর ধরে চলে মামলা। ৩ বছর পর সাইরাস মিস্ত্রির পক্ষে রায় দিয়েছিল দ্য ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল। কিন্ত স্বস্তি বেশিদিন স্থায়ী হল না সাইরাস মিস্ত্রির জন্য।