নিজস্ব প্রতিবেদন— লকডাউন। এমনিতেই কয়েক হাজার মানুষ কাজহারা। লকডাউন উঠলেই যে সব কিছু আগের মতো হয়ে যাবে তাও নয়। ছোঁয়াছুয়ি আপাতত বন্ধ। সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। এমনই কয়েক ডজন নতুন নিয়ম বেঁধে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে লকডাউন উঠলেও এত তাড়াতাড়ি যৌনপল্লীতে ভিড় বাড়বে না। এমনিতেই করোনার হানায় মহাসংকটে যৌনকর্মীরা। শরীরই তাঁদের রোজগারের মাধ্যম। লকডাউনে খদ্দের নেই। পেট চলবে কী করে! কতদিন আর সাহায্য নিয়ে দিন গুজরান করা যাবে! চিন্তায় ঘুম উড়েছে যৌনকর্মীদের। তবে এবার পেশা বাঁচাতে অনলাইনে নতুন কিছু চেষ্টা করছে যৌনকর্মীরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুমাসের বেশি সময় ধরে লকডাউন। আর সংসার টানতে পারছেন না মধ্যবিত্তরা। প্রায় রোজ যে সব খদ্দেররা যৌনপল্লিতে ঢুঁ মারেন তাঁদের দেখা নেই বহুদিন। এমন অবস্থায় অনলাইনে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বেঙ্গালুরুর যৌনকর্মীরা। পেশা বাঁচিয়ে রাখতে টেক স্যাভি হওয়ার চেষ্টা করছেন রেড লাইট এলাকার মহিলারা। ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে দিচ্ছেন পরিষেবা। বেঙ্গালুরুর যৌনকর্মীরা মনে করছেন, তাঁদের এই উদ্যোগ দেশের অন্য অংশের যৌনকর্মীদেরও পথ দেখাতে পারে। পাওনা টাকাও তারা পাচ্ছেন অনলাইনে। কিন্তু এই পেশায় অনলাইনে পরিষেবা দেওয়া কি আদৌ সম্ভব? এক যৌনকর্মীর দাবি, কিছু খদ্দের আমাদের থেকে এমন পরিষেবা চাইছেন। আর সেটা বাধ্য হয়েই। আপাতত এটা ছাড়া কোনও উপায়ও নেই।


আরও পড়ুন— ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার মাত্র ২.৮৬ শতাংশ, বিশ্বের বহু দেশের থেকেই কম, দাবি কেন্দ্রের


রোজি নামের এক যৌনকর্মী জানিয়েছেন, এক ব্যবসায়ী শহরে এলেই তাঁর সঙ্গে সময় কাটাতে আসেন। কিন্তু এখন তিনিও আসছেন না। অনেকে জুম কল করে যোগাযোগ করেন। কোনও কোনও খদ্দের আবার কাজ হয়ে গেলে পাওনা মেটায়নি। তাই এবার পরিষেবা দেওয়ার আগে পেটিএম বা গুগল পে বা ফোন পে—তে টাকা নিচ্ছেন যৌনকর্মীরা। অনলাইনে ঘণ্টার হিসাবে টাকা ধার্য করছেন যৌনকর্মীরা। তবে এখনও বেশিরভাগ যৌনকর্মীরা টেক স্যাভি হয়ে উঠতে পারেননি। তাঁদের কী হবে! পেট চলবে কী করে! কেউ জানে না সেই উত্তর।