Kerala Court: উত্তেজক পোশাক পরলে মেয়েদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তোলা অর্থহীন: আদালত
সমাজকর্মী ও লেখক সিভিক চন্দ্রন সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট কেসে চন্দ্রনকে জামিন দেওয়ার সূত্রেই আদালতের এই পর্যবেক্ষণের কথা জানা যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেরালার কোঝিকোড়ে একটি জেলা সেশন কোর্টে এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে যৌন হেনস্থার ঘটনাগুলিকে দেখার কথা বলা হল। পরিষ্কার বলা হল, সংশ্লিষ্ট মহিলা যদি যৌন উদ্দীপক পোশাক পরে থাকেন তবে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তের প্রতি করা তাঁর অভিযোগ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করবে আদালত। প্রথম ধাপেই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করবে না তারা। এই প্রসঙ্গ উঠল কারণ, ৭৪ বছরের সমাজকর্মী এবং লেখক সিভিক চন্দ্রনের বিরুদ্ধে ওঠা সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের কেসে তাঁকে অ্যান্টিসিপেটরি বেল দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। কোর্ট তখন অত্যন্ত বিস্ময় প্রকাশ করেছে এই নিয়ে যে, বছর ৭৪-এর এক অশক্ত ও 'ডিসেবল্ড' মানুষ কী ভাবে এক তরুণীকে জোর করে নিজের কোলে বসাতে পারেন! আসলে লেখকের বিরুদ্ধে এই মর্মেই অভিযোগ করা হয়েছিল অভিযোগকারিণীর তরফে।
দেশের আইন সর্বদা সর্বথা মেয়েদেরই সুরক্ষা দেয়। পুরুষতান্ত্রিক একটি দেশে সেটাই হয়তো কাম্য। কিন্তু বহু দিন থেকেই বিভিন্ন কেসের সূত্রে দেখা গিয়েছে, সব ক্ষেত্রে পুরুষরা সেই অর্থে দোষী থাকেন না, অথচ, আইন যেহেতু মেয়েদেরই সুরক্ষা দেয় বেশি ফলে অনেক সময়েই মেয়েদের তরফে বিষয়টায় কোনও ইন্ধন থাকলে সেটা গ্রাহ্যের মধ্যে আনা সম্ভব হয় না। এবং এই নিয়ে নানা মহল থেকেই বহুদিন ধরেই একটা ক্ষোভ বা অসন্তোষের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, পাওয়া যায়। এই প্রেক্ষিতে কোঝিকোড় সেশন আদালতের এই পর্যবেক্ষণ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। সমাজকর্মী সিভিক চন্দ্রন সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট কেসে চন্দ্রনকে জামিন দেওয়ার সূত্রেই আদালতের এই তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণের কথা জানা যায়। লেখককে অবশ্যই জামিন দেওয়া হয়। আর তখনই বলা হয়, ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের আর্টিকল ৩৫৪এ ধারাতেই এবার অভিযোগের বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: Bihar Politics: ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে মোদীকে সরানোর ডাক দিলেন লালুপ্রসাদ
সিভিক চন্দ্রনের অভিযোগকারিণীর ছবিটি প্রকাশ করা হয়, এবং দেখা যায় সংশ্লিষ্ট মহিলা যে ধরনের পোশাক পরে আছেন তা 'সেক্সুয়ালি প্রোভোকেটিভ'। এই মর্মে আদালত বলে, অভিযুক্ত যে ছবি দাখিল করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে অভিযোগকারী স্বয়ং আপত্তিকর পোশাক পরে আছেন! ফলে অভিযুক্তের প্রতি ৩৫৪এ ধারা সরাসরি প্রযোজ্য হবে না।
তবে সকলেই যে এই মতকে সমর্থন করেছেন তা নয়। অনেকে কেরালা আদালতের এই রায়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। দিল্লি কমিশন ফর উওম্যান-এর চেয়ারপার্সন স্বাতী মানিওয়ালও বিষয়টি নিয়ে তাঁর ক্ষোভ গোপন করেননি। এই প্রসঙ্গে তিনি একটি ট্যুইটও করেছেন।