নিজস্ব প্রতিবেদন: জল বাঁচাতে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিল এসএফআই। ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫০ লক্ষ চারাগাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তৈরি স্লোগানও। সরকারের কাছে তাদের আর্জি খরা আক্রান্ত শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা ও থাকার বন্দোবস্ত করে দিতে হবে। তাদের জন্য বিশেষ ভাতার দাবিও জানিয়েছে এসএফআই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জল বাঁচাতে এক অভিনব উদ্যোগ নিল এসএফআই। 'ওয়াটার ফর এভরিওয়ান' নামে প্রচার শুরু করল তারা। এই সংগঠনের দাবি এই মুহূর্তে সারা দেশ জুড়ে জলের জরুরি অবস্থা জারি করা হোক। এছাড়াও সরকারের আরও কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ যাতে জল সংরক্ষিত হবে  এর ফলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। বাড়বে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর।



আরও পড়ুন- তামিলনাড়ু থেকে রাজ্যসভায় মনমোহন! কংগ্রেসের আর্জি প্রত্যাখ্যান স্টালিনের


পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অদূর ভবিষ্যতে প্রবল জলসঙ্কটে পড়বে গোটা দেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে থাকবে না পানীয় জল। ২১টি শহরে ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডার শেষ হয়ে যাবে ২০২০ সালের মধ্যেই। তাঁর মধ্যে রয়েছে নয়া দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদের মতো বড় শহরের নামও। 



আরও পড়ুন- শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব তেলাঙ্গানায় আক্রান্ত মহিলা ফরেস্ট অফিসার


এসএফআইয়ের অভিযোগ, জলের ঘাটতি না, সঙ্কটের জন্য দায়ী সরকারের জাতীয় জলনীতি প্রণয়নের গাফিলতি। ভারতের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাড়িতে পৌঁছয় না পানীয় জল। ৮৪ শতাংশ বাড়িতে পাইপের জলের ব্যবস্থা প্রনয়ণ না করা। প্রায় ৭০ শতাংশ জায়গায় জল খাওয়ার যোগ্যই নয়। জলের বিশুদ্ধতার নিরিখে ১২২ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১২০ তম। বেশিরভাগ জায়গাতেই মানুষের জন্য বরাদ্দ পানীয় জল ব্যবহার হয় বড় কারখানাগুলিতে। নির্বিচারে গাছ কাটার জন্য কমে গিয়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমেছে দ্রুত হারে। ফলে বেড়ে গিয়েছে খরা। এর জন্য সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দরিদ্র মানুষরাই। বাড়ছে আত্মহত্যার সংখ্যা। দলে দলে মানুষ চাকরির সন্ধানে চলে আসছেন শহরে। যার ফলে শহরাঞ্চলের জল আরও কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।