নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রচার কে না চায়! সকলেই এখন প্রচারমুখী। আর সেই প্রচারের আশাতেই এখন নাজেহাল হতে হচ্ছে শক্তি ভার্গবকে। কারণ, তিনিই সেই ব্যক্তি, যিনি বৃহস্পতিবার জুতো ছুঁড়েছেন বিজেপি নেতা জেবিএল নরসিমাকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


তবে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে জুতো ছোড়ার জেরে তাঁর নাজেহাল অবস্থার সূত্রপাত, তা একেবারেই নয়। বরং গত দু’বছর ধরে আয়কর মামলায় জেরবার হচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বেনামি সম্পত্তি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।


আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদকে লক্ষ্য করে জুতো দলের সদর দফতরেই 


নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বৃহস্পতিবার জুতো হামলার ঘটনাটি ঘটে। তখন সেখানে সাংবাদিক বৈঠক চলছিল। সাংবাদিক ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাজির ছিলেন শক্তি ভার্গব। সাংবাদিক বৈঠকের মাঝে আচমকা তিনি জেবিএল নরসিমাকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে দেন।


এর পর পুলিস তাঁকে আটক করে। জেরাও করে। সেই জেরাতেই উঠে আসে ভার্গব সম্বন্ধে একাধিক তথ্য। তিনি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা। সেখানেই তিনি পৈতৃক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তিনি সেখানকার ভার্গব হাসপাতালের কর্ণধার।


আরও পড়ুন: কান্ধমালে মাও হানা; ভোটকর্মীদের গাড়ি লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ-গুলি, নিহত নির্বাচনী পর্যবেক্ষক


তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়দের নামে বেনামে সম্পত্তি কেনার অভিযোগ রয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত দু’বছর ধরে আয়কর মামলা চলছে।


কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আয়কর দফতররের তদন্ত বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন শীর্ষ আদালত খারিজ করে দেয়। বরং তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।


আরও পড়ুন: মুম্বই হামলার পর কংগ্রেস কাঁদত, এখন পাকিস্তান কাঁদছে : মোদী


পুলিসের দাবি, এই পরিস্থিতিতে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন শক্তি ভার্গব। প্রচারের আলোয় আসতে চেয়েছেন। তাই বিজেপি দফতরে গিয়ে জুতো হামলা করে বসেন।


এই ঘটনায় বিজেপির তরফে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি বলে খবর। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিস ছেড়েও দিয়েছে।