নিজস্ব প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রে জোট গড়ে সরকার গঠনের কথাবার্তা চালাচ্ছে শিবসেনা-এনসিপি ও কংগ্রেস। ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। ওই বৈঠক নিয়ে যারপরনাই অসন্তুষ্ট কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, মোদীর সঙ্গে ভুল সময়ে দেখা করেছেন পাওয়ার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন শরদ পাওয়ার। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভে সামিল হয়নি এনসিপি সাংসদরা। সে কারণে সংসদে ইতিমধ্যেই এনসিপি-র প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মহারাষ্ট্রের কৃষকদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন পাওয়ার। পাওয়ার জানান, অনিয়মিত বৃষ্টির জেরে নাসিকে ৩৫ হাজার হেক্টর তুলো চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাষ্ট্রপতি শাসন থাকায় কৃষকদের সহযোগিতা করা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। 


মহারাষ্ট্রে ক্ষমতার দখল নিয়ে দড়ি টানাটানির সময় মোদী-পাওয়ার বৈঠকে খুশি নন কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের মতে, ভুল সময় বেছেছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক। বিকেলে দিল্লিতে শরদ পাওয়ার বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। মহারাষ্ট্রে কীভাবে সরকার গঠন করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। তার আগে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে বৈঠক করেন আহমেদ পটেল, কেসি বেণুগোপাল, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অশোক চহ্বনরা।                                        



মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে শিবসেনা। এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের চেষ্টায় রয়েছে তারা। কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছেন, ডিসেম্বরের আগেই অ-বিজেপি সরকার পেতে চলেছে মহারাষ্ট্র। তবে শিবসেনাকে সাম্প্রদায়িক নীতি ছাড়তে হবে। নইলে জোট সম্ভব নয়। রাজ্যসভায় শিবসেনাকে পাঠানো হয়েছে বিরোধী আসনে। এদিন তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুকে চিঠি দিয়েছেন শিবসেনার সঞ্জয় রাউত। তাঁর অভিযোগ, ৩ নম্বর সারি থেকে ৫ নম্বরে পাঠানো হয়েছে শিবসেনাকে। শিবসেনাকে হেয় করতেই এই সিদ্ধান্ত। এভাবে আমাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন- তামিলনাড়ুতে রজনী-কমল জুটি! সবুজ সংকেত দিলেন দু’জনেই