রাজনাথের বিরুদ্ধে লড়তে সমাজবাদী পার্টিতে শত্রুঘ্ন-পত্নী পুনম
ক’দিন আগেই কংগ্রেসে যোগদান করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। যে আসনে তিনি বিজেপির সাংসদ ছিলেন, সেই পাটনা সাহিব আসনেই এবার তিনি কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। প্রতিপক্ষ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ক’দিন আগেই কংগ্রেসে যোগদান করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। যে আসনে তিনি বিজেপির সাংসদ ছিলেন, সেই পাটনা সাহিব আসনেই এবার তিনি কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। প্রতিপক্ষ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
গেরুয়া শিবিরে থাকাকালীন বলিউডের এই অভিনেতার স্ত্রীকে কখনওই সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি। কিন্তু বিহারীবাবুর দলবদলের পরই রাজনীতির আঙিনায় পা রাখলেন শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহা।
আরও পড়ুন: রাজনাথের বিরুদ্ধে লখনউ আসনে বিরোধী প্রার্থী শত্রুঘ্ন-পত্নী পুনম : সূত্র
শত্রুঘ্ন সিনহা বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তবে তাঁর স্ত্রী পুনম রাহুল গান্ধীর দলে যাননি। বরং তিনি নাম লেখালেন সমাজবাদী পার্টিতে। মঙ্গলবার দলের সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদবের উপস্থিতিতে সপায় যোগ দিলেন পুনম মহাজন।
বিহারের পাটনা সাহিবের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। গত কয়েক বছর ধরেই তিনি বিজেপিতে থেকেও মোদীর বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। তাই এবার তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। তার পরই তিনি রাহুল গান্ধীর দলে যোগদান করেন।
তবে তিনি কংগ্রেসের সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাত্ করার পর থেকেই পুনমের রাজনীতিতে আসার জল্পনা শুরু হয়েছিল। তখন খবর ছড়ায় যে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে উত্তরপ্রদেশের লখনউ কেন্দ্র থেকে।
আরও পড়ুন: ভোপালে দিগ্বিজয়ের সিংয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন প্রজ্ঞা! জল্পনা বিজেপির অন্দরে
শেষপর্যন্ত সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়ে সেই জল্পনাকে আরও জোরদার করলেন পুনম নিজেই। আর তা সত্যি হলে কংগ্রেসও লখনউ কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে না। ফলে ওই আসনে এবার সরাসরি লড়াই হতে পারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও পুনম সিনহার মধ্যে।
লখনউ কেন্দ্রটি ১৯৯৮ সাল থেকে বিজেপির দখলে। টানা চারবার সেখান থেকে জিতেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ী। তার পর ২০১৪ সালে বিজেপি ওই কেন্দ্রে টিকিট দেয় রাজনাথ সিংকে। সেখান থেকে জিতেই মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন রাজনাথ।
আরও পড়ুন: সব মোদীই চোর! রাহুলের মন্তব্যে মানহানি মামলা করার হুঁশিয়ারি বিজেপির
এবারও ওই কেন্দ্রে রাজনাথ সিং ভোটে লড়ছেন। আর রাজনাথের বিপরীতেই পুনমকে লড়াতে চায় বিরোধীরা। লখনউ কেন্দ্রে ভোট ১২ মে পঞ্চম দফায়। সেখানে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। শেষদিন ১৮ এপ্রিল পুনম সিনহা মনোনয়ন জমা দেবেন বলে একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, হঠাত্ রাজনাথের আসনে বিরোধীরা কেন একের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ে নামতে চাইছে? ওই সূত্রের দাবি, রাজনাথ সিংকে ওই আসনের মধ্যে আটকে রাখতে চাইছে বিরোধীরা। তাই চাপ বাড়ানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এখনও রেলের টিকিটে মোদীর ছবি! বরখাস্ত ২ রেলকর্মী
বিজেপি যদিও এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। তাদের দাবি, লখনউতে গত পাঁচ বছরে অনেক কাজ করেছেন রাজনাথ। তাই তাঁর হারার কোনও অবকাশ নেই। ফলে পুনম সিনহা প্রার্থী হলেও বিরোধীরা কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না।
২০১৪ সালে লখনউ আসনে রাজনাথ সিং ৫৫.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতে তিনি লিড পেয়েছিলেন। এবার সেই ট্রেন্ড বজায় থাকলে বিরোধীরা একজোট হয়েও বিশেষ লাভ করতে পারবে না বলেই মত পর্যবেক্ষকদের।