নিজস্ব প্রতিবেদন: হঠাত্ শীলা দীক্ষিতের মৃত্যুর খবর শুনে নিজেকে বিধ্বস্ত মনে হচ্ছিল। এমন ভাবেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ব্যাখ্যা করলেন নিজের মনের কথা। আজ বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ খবর আসে, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন। এই খবর শুধুমাত্র কংগ্রেস কর্মীদেরই নয়, দেশের রাজনৈতিক মহলকে অবাক করে।   মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। শুক্রবার, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


টুইটে রাহুল গান্ধী বলেন, “শীলা দীক্ষিতজি মৃত্যুর খবর শুনে নিজেকে বিধ্বস্ত মনে হচ্ছে। কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন, যাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত অনেক কথাই শেয়ার করতাম। তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন।” দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন বর্ষীয়ান নেত্রী শীলা ১৯৯৮, ২০০৩ এবং ২০০৮ সাল পরপর তিন বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন শীলা দীক্ষিত। এরপর ২০১৩ সালে নির্বাচনে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবালের কাছে পরাজিত হন তিনি। যদিও সেখানেই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার থেমে থাকেনি। বর্ষীয়ান এই নেত্রী ২০১৪ সালে কেরলের গর্ভনর করা হন। ওই বছরে মে-মাসে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে মোদী সরকার। আর অগস্টেই গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীও করে। পরবর্তীকালে সেই পদ থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহার করেন শীলা দীক্ষিত।


আরও পড়ুন- আকাশপথ আটকে ভারতকে চাপে ফেলতে গিয়ে ৩৪৪ কোটি টাকার লোকসানের মুখে পাকিস্তান


দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে টুইটে শোকবার্তা জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি তাঁর শোকবার্তায় জানান, শীলা দীক্ষিতের সময় দিল্লি অভূতপূর্ব পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে, যা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতার একটি ছবি দিয়ে জানান, দিল্লির উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শোকবার্তায় জানান, উনি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী থাকাকালীন একসঙ্গে কাজ করেছি। দারুণ সম্পর্ক ছিল তাঁর সঙ্গে। ওনার অভাব অনুভব করবো।