Maharashtra Politics: অবশেষে সম্প্রসারিত মহারাষ্ট্রের ২ সদস্যের মন্ত্রিসভা, শপথ নিলেন নতুন ১৮ জন
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অথবা অর্থ মন্ত্রকের মতো বড় পোর্টফোলিও বণ্টনের ইস্যুতে বিজেপি এবং শিন্দের নেতৃত্বাধীন সেনার মধ্যে দ্বন্দ্ব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও শিন্ডে শিবিরের যুক্তি তাদের বিদ্রোহের কারণেই বর্তমান সরকার গঠন সম্ভব হয়েছে এবং তাদেরই বড় পোর্টফোলিওগুলি পাওয়া উচিত। বিজেপি নেতারা দাবি করবেন যে একক বৃহত্তম দল হওয়ায় তাদেরই বড় পোর্টফোলিও পাওয়া উচিত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে রাজ্যের মন্ত্রিসভার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবশেষে তার দুই সদস্যের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছেন তিনি। নতুন ১৮ জন মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন তাঁর মন্ত্রিসভায়। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার বহুল প্রতীক্ষিত সম্প্রসারণে বিজেপি এবং একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা গোষ্ঠীর নয় জন বিধায়ক মুম্বইয়ের রাজভবনে একটি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি ১৮ জন বিধায়ককে মন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান। যে বিজেপি বিধায়করা মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন - চন্দ্রকান্ত পাতিল, সুধীর মুনগান্টিওয়ার, গিরিশ মহাজন, সুরেশ খাদে, রাধা কৃষ্ণ ভিখে পাটিল, রবীন্দ্র চাভান, মঙ্গল প্রভাত লোধা, বিজয়কুমার গাভিট এবং অতুল সাভে।
বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা যারা মন্ত্রী হয়েছেন তাঁরা হলেন দাদা ভুসে, শম্ভুরাজে দেশাই, সন্দীপন ভুমরে, উদয় সামন্ত, তানাজি সাওয়ান্ত, আব্দুল সাত্তার, দীপক কেসরকর, গুলাবরাও পাতিল এবং সঞ্জয় রাঠোড়।
একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ৪১ দিন পরে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হয়েছে। জুন মাসে, শিবসেনার ৫৫ বিধায়কের মধ্যে ৪০ জন শিন্দের সঙ্গে জোট বাঁধেন। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের সূত্রপাত করে এই জোট। পরবর্তীকালে, শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীস ৩০ জুন উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন।
উদয় সামন্ত, গুলাবরাও পাতিল, দাদা ভুসে, সন্দীপন ভুমরে, শম্ভুরাজ দেশাই, বাচ্চু কাদু এবং রাজেন্দ্র পাটিল ইয়েদ্রাভকর এবং বরতমান মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে সকলেই উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি (এমভিএ) সরকারের অংশ ছিলেন। চন্দ্রকান্ত পাটিল বর্তমানে বিজেপি মহারাষ্ট্র রাজ্যের সভাপতি। এর পাশাপাশি অতুল সাভে, সুধীর মুঙ্গাটিওয়ার এবং বিজয়কুমার গাভিট সকলেই পূর্ববর্তী সরকারগুলিতে মন্ত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন: Bihar Politics: বিকেলে তেজস্বীর সঙ্গে রাজ্যপালের দরবারে নীতীশ! ইস্তফা দিয়েও কি মসনদে তিনিই?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অথবা অর্থ মন্ত্রকের মতো বড় পোর্টফোলিও বণ্টনের ইস্যুতে বিজেপি এবং শিন্দের নেতৃত্বাধীন সেনার মধ্যে দ্বন্দ্ব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও শিন্ডে শিবিরের যুক্তি তাদের বিদ্রোহের কারণেই বর্তমান সরকার গঠন সম্ভব হয়েছে এবং তাদেরই বড় পোর্টফোলিওগুলি পাওয়া উচিত। বিজেপি নেতারা দাবি করবেন যে একক বৃহত্তম দল হওয়ায় তাদেরই বড় পোর্টফোলিও পাওয়া উচিত।
বিরোধী দল এনসিপি এবং শিবসেনা মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ না করার জন্য বর্তমান সরকারের সমালোচনা করছে। মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে বিলম্বের কারণ জিজ্ঞাস করে প্রশ্নও তোলে তারা।