বিজেপির হাত ছাড়ল শিবসেনা, ২০১৯-এ একাই ভোটে লড়বে বালাসাহেবের দল
মঙ্গলবার শিবসেনা জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে জোট ছাড়ার প্রস্তাব পেশ করেন দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। প্রস্তাবের পক্ষে সমর্খন জানান বাকি সদস্যরা। এর ফলে মহারাষ্ট্রে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল দেবেন্দ্র ফড়নবীসের সরকার। সরকার বাঁচাতে বিজেপির দরকার ২২টি আসন। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ৪২টি আসন। এনসিপির হাতে রয়েছে ৪১টি। সেক্ষেত্রে বিজেপির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে জাতীয় রাজনীতির সমীকরণ বদলে দিতেই পারে শরদ পাওয়ারের দল।
ওয়েব ডেস্ক: NDA ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির সব থেকে পুরনো শরিক শিবসেনা। মঙ্গলবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বিজেপি।
বিজেপি - শিবসেনার দড়ি টানাটানি যদিও নতুন নয়। ২০১৪ বিধানসভা নির্বাচনের আগেও এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল শিবসেনা। আলাদা আলাদা নির্বাচনে লড়ে বিজেপি পেয়েছিল ১২২টি আসন। শিবসেনা পায় ৬৩টি আসন। ২৮৮ আসনের বিধানয়ভায় সরকার গড়তে দরকার ১৪৪টি আসন। ফলে ফের হাত ধরতে হয় দুই দলকে। তবে সেই সহবাস মোটেও সুখের হয়নি। প্রথম থেকেই বিবাদে জড়ায় দু'পক্ষ। বার বার শিবসেনার তরফে এনডিএ ছাড়ার হুমকি দেওয়া হতে থাকে। কেন্দ্রে মোদী সরকারের একাধিক পদক্ষেপের বিরোধিতায় সরব হয় শিবসেনা। যার জেরে অস্বস্তি বাড়ে বিজেপির।
আরও পড়ুন - ভারতে বাণিজ্যের প্রচুর সুযোগ, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে জোরাল সওয়াল মোদীর
মঙ্গলবার শিবসেনা জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে জোট ছাড়ার প্রস্তাব পেশ করেন দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। প্রস্তাবের পক্ষে সমর্খন জানান বাকি সদস্যরা। শিবসেনা সমর্থন প্রত্যাহার করলে মহারাষ্ট্রে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল দেবেন্দ্র ফড়নবীসের সরকার। সরকার বাঁচাতে বিজেপির দরকার ২২টি আসন। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ৪২টি আসন। এনসিপির হাতে রয়েছে ৪১টি। সেক্ষেত্রে বিজেপির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে জাতীয় রাজনীতির সমীকরণ বদলে দিতেই পারে শরদ পাওয়ারের দল।
লোকসভায় শিবসেনার ১৮ জন সাংসদ রয়েছেন। রাজ্যসভায় রয়েছেন ৩ জন সাংসদ। মোদী মন্ত্রিসভায় বর্তমানে শিবসেনার ১ জন মন্ত্রী রয়েছেন।