ওয়েব ডেস্ক: গুমনামি বাবাই কি নেতাজি? ফৈজাবাদের রাম ভবনেই কি কেটেছিল তাঁর শেষ জীবন?  গুমনামি বাবার সরঞ্জামের মধ্যে থেকে নেতাজি পরিবারের দুটি ছবি উদ্ধার হওয়ায় বিতর্ক আরও জোরাল হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একটি চশমা, রোলেক্স ঘড়ি এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের উর্দি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গুমনামি বাবার প্রকৃত পরিচয় নিয়ে বিতর্ক আরও দানা বাঁধল। কে এই গুমনামি বাবা? গুমনামি বাবা ওরফে ভগবানজি। শেষ জীবন কাটিয়েছিলেন ফৈজাবাদের রাম ভবনে। ১৯৮৬ সালে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পরিচয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সুভাষ চন্দ্র বসুর ভাইঝি ললিতা বসুও দাবি করেন, গুমনামি বাবাই নেতাজি।


ললিতা বসুর আবেদনের ভিত্তিতেই এলাহাবাদ কোর্টের লখনউ বেঞ্চ জেলা প্রশাসনকে গুমনামি বাবার যাবতীয় সরঞ্জাম রক্ষা করার নির্দেশ দেয়। গত ৩০ বছর ধরে জেলা ট্রেজারিতে রক্ষিত ছিল গুমনামি বাবার যাবতীয় জিনিসপত্র। এই ইস্যুতে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাম ভবনের মালিক শক্তি সিং।


২০১৩ সালে রামভবন থেকে উদ্ধার হওয়া গুমনামি বাবার সরঞ্জাম সংগ্রহশালায় রাখতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই সামগ্রী সামনে আসতে বিতর্ক আরও জোরাল হয়েছে। গুমনামি বাবার সরঞ্জামের মধ্যে ছিল নেতাজি পরিবারের দুটি বহু পুরনো ছবি।



একটি ছবি নেতাজির বাবা জানকিনাথ বসু ও মা প্রভাবতী দেবীর। অন্যটি বাবা-মা সহ মোট ২২ জনের একটি পারিবারিক ছবি। একটি রোলেক্স ঘড়ি, একটি চশমা। নেতাজি পরিবারের সদস্যদের লেখা চিঠি। কয়েকটি সংবাদপত্রের কাটিং। আজাদ হিন্দ ফৌজের উর্দি।


জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্ভবত এমাসের শেষেই গুমনামি বাবার সামগ্রী সংগ্রহশালায় পাঠানো হবে। তবে শক্তি সিংয়ের দাবি, প্রকৃত সত্য সামনে আনার জন্য এই সামগ্রীর পরীক্ষা প্রয়োজন। তবে কি গুমনামি বাবার সামগ্রীর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে নেতাজি অন্তর্ধানের রহস্যের চাবি? একজন সাধারণ নাগরিকের সামগ্রী হলে, তা কেনই বা সংগ্রহশালায় পাঠানো হল? রহস্য বেড়েই চলেছে।