Shraddha Walkar Case: কোন ধারালো অস্ত্রে শ্রদ্ধাকে কুপিয়েছিল আফতাব? ফ্ল্যাটে জোরদার তল্লাশি পুলিসের
Delhi Murder: ১৮ মে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। এর পরে, আফতাব আমিন পুনাওয়ালা তার দেহকে ৩৫ টুকরো করে কেটেছিলেন। আফতাব প্রায় তিন মাস শ্রদ্ধার দেহ দক্ষিণ দিল্লির মেহরাউলিতে তার বাড়ির ফ্রিজে রেখেছিলেন। এরপর শহরের বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে দেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আফতাব আমিন পুনাওয়ালা কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্রদ্ধা ওয়াকারের নিথর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছিলেন? সেই অস্ত্রের খোঁজ শুরু করেছিল দিল্লি পুলিস। শনিবার একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। শ্রদ্ধাকে হত্যার পর আফতাব সম্ভবত ওই ধারালো অস্ত্র দিয়েই তার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। দিল্লি পুলিস প্রথমে এমনটাই ভেবেছিল। সূত্রের খবর, দিল্লির ছত্তরপুর এলাকায় আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিস। সেই অস্ত্র দিয়েই আফতাব শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এছাড়া গুরুগ্রামে আফতাবের কর্মস্থল থেকে একটি বড় পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র তদন্তে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছে পুলিস। শুক্রবার দিল্লিতে তাঁর বাড়ি থেকে একটি বৈদ্যুতিক করাতও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর আফতাব তার দেহকে ৩৫টি টুকরো করে ফেলে। আফতাব প্রায় তিন মাস শ্রদ্ধার দেহ দক্ষিণ দিল্লির মেহরাউলিতে তার বাড়ির ফ্রিজে রেখেছিল। এরপর শহরের বিভিন্ন স্থানে সেই দেহাংশ ছড়িয়ে দেয়।
এখনও পর্যন্ত শ্রদ্ধার শরীরের বিভিন্ন অংশের হদিস পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছে আফতাব। তদন্তে আফতাবও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। পুলিসের একটি দল সম্প্রতি তাকে নিয়ে দিল্লির মেহরাউলি জঙ্গলে গিয়েছিল। পুলিস শ্রদ্ধার দেহের অবশিষ্ট অংশ এবং দেহ বিকৃত করতে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান করছে।
আরও পড়ুন: No Money for Terror: সন্ত্রাসবাদের ফলে ২০ বছরে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি ৭৩ লক্ষ ৩৭ হাজার কোটি টাকা
একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আফতাবের সঙ্গে শ্রদ্ধার দেখা হয়। কিছুদিনের মধ্যেই তাদের কথোপকথন প্রেমে পরিণত হয়। পরিবারের অসম্মতি সত্ত্বেও, মহারাষ্ট্রের পালঘরের তরুণী শ্রদ্ধা, আফতাবের সঙ্গে তার বাকি জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে তার বাবা-মাকে ছেড়ে আফতাবের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। কিন্তু শ্রদ্ধাকে সেই প্রেমিকের হাতে খুন হতে হয়েছে যার ভালোবাসায় সে তার মা-বাবাকে ছেড়েছিল।
পুলিস সূত্রে খবর, আফতাব ওই ডেটিং অ্যাপে আরও কয়েকজন মহিলার সঙ্গে চ্যাট করতেন। শ্রদ্ধাকে হত্যা করার পরে আফতাব অপর এক নারীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। ওই মহিলাও আফতাবের বাড়িতে আসেন। এই সময় আফতাব শ্রদ্ধার লাশ আলমারিতে লুকিয়ে রাখে। এই মামলার তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য। এর মধ্যে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার উল্লেখযোগ্য ঘটনা।