Shraddha Walkar murder Case: লিভ ইন সম্পর্কের জন্য অপরাধ বাড়ে, দায়ী শিক্ষিত মেয়েরাই, চাঞ্চল্যকর দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
অভিযুক্ত তরুণ আফতাব আমিন পুনাওয়ালা ও তার বান্ধবী শ্রদ্ধা পুনাওয়ালা দুজনেই মুম্বইয়ের বাসিন্দা। কাজের সূত্রে দুজনের পরিচয় হয়েছিল। পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে, শ্রদ্ধা যখন বিয়ের জন্য আফতাবকে জোরাজুরি করতে থাকেন, তখনই রাগের মাথায় আফতাব চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লিতে লিভ-ইন পার্টনারকে তার পুরুষ সঙ্গীর ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দায়। শ্রদ্ধা ওয়াকার নামে ওই তরুণীকে খুন করে তার দেহ ৩৫ টুকরো করে তার সঙ্গী। তার পর তা রেখে দেয়ে ফ্রিজে। এরপর গত কয়েক মাস ধরে সেই দেহাংশ ধাপে ধাপে ফেলে দিয়ে আসে দিল্লির বাইরে। এমন খুন ঘটনায় শিউরে উঠতে হয়। এনিয়ে এবার সরব হলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী কৌশল কিশোর। তাঁর দাবি, এরকম ভয়ঙ্কর ঘটনার জন্য দায়ী শিক্ষিত মেয়েরাই। কম শিক্ষিত গ্রামের মেয়েদের ক্ষেত্রে এমন সমস্যা নেই। এই লিভ-ইন সম্পর্ক অপরাধে উত্সাহ দেয়।
আরও পড়ুন- কাপ যুদ্ধের আগেই বিপত্তি, নিগৃহীত সাংবাদিক! ক্ষমা চাইল ফিফা
সংবাদমাধ্য়মে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, একটি মেয়েকে বড় করে বাবা-মা। তাকে শিক্ষা দেন। আর একটা সময় আসে যখন সে এক ঝটকায় বাবা-মাকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু লিভ ইন রিলেশনে থাকার মানে কী? যদি একসঙ্গে থাকতেই হয় আর বাবা-মা আপত্তি করে তাহলে আগে কোর্ট ম্যারেজ করো। সেসব মেয়ে শিক্ষিত তাদের সঙ্গেই এসব হচ্ছে। সমাজকে ওরা দেখানোর চেষ্টা করেন যে আমি এখন সাবালক, যে কোনও সিদ্ধন্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার রয়েছে। এসব করতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটছে। আমাদের মেয়েদের ভেবে দেখা উচিত, কেন আমরা এমন সম্পর্কে যাব। পড়াশোনা জানা মহিলারাই এইসব ঘটনার জন্য দায়ী। দিল্লির ঘটনাই ধরুন, বাবা-মা মানা করেছে। মা কাতর অনুরোধ করেছে মেয়ের কাছে। বাবা বলছেন, অনেকবার নিষেধ করেছি। ও শোনেনি। পড়াশোনা জানা মেয়ে তাই এরকম ঝুঁকি নিয়েছিল। এসব করার কোনও প্রয়োজন নেই। বিয়ে না করে স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকব, এটাই সমাজে অপরাধের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এভাবে থাকাটা একেবারেই ভুল।
পশ্চিমী সংস্কৃতি হোক বা অন্যকিছু এদেশে লিভ ইন রিলেশনের সংখ্যা বাড়ছে। সুপ্রিম কোর্টেও এই সম্পর্ককে মান্যতা দিয়েছে। মন্ত্রীর দাবি, গ্রামের কম পড়শোনা জানা মেয়েরা এই লিভ ইন সম্পর্কের ফাঁদে পড়ে না। বরং পড়াশোনা জানা প্রগতিশীল পরিবারের মেয়েরাই এর শিকার হয়। এই ধরনের সম্পর্কে নিষিদ্ধ করা উচিত।
দিল্লির ওই ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত তরুণ আফতাব আমিন পুনাওয়ালা ও তার বান্ধবী শ্রদ্ধা পুনাওয়ালা দুজনেই মুম্বইয়ের বাসিন্দা। কাজের সূত্রে দুজনের পরিচয় হয়েছিল। পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে, শ্রদ্ধা যখন বিয়ের জন্য আফতাবকে জোরাজুরি করতে থাকেন, তখনই রাগের মাথায় আফতাব চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। শ্রদ্ধার বাবার পক্ষ থেকে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পেয়েই মুম্বই পুলিস যোগাযোগ করে দিল্লি পুলিসের সঙ্গে। জানা যাচ্ছে গত ২২ মে আফতাব-শ্রদ্ধার মধ্যে বিয়ে সংক্রান্ত কারণেই ঝগড়া বেঁধেছিল। এরপর আফতাবের নৃশংসতার শিকার হন শ্রদ্ধা। আফতাব ছুরি হাতে শ্রদ্ধার ৩৫ টুকরো করে ফেলে। এরপর বাড়িতে একটি ফ্রিজ নিয়ে এসে দেহের টুকরোগুলি ঢুকিয়ে রাখে। এরপর আফতাব পরের ১৮ দিন রাতের অন্ধকারে, দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দেয়।