জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তনমন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পর লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের টার্গেটে এখন সলমান খান, শাহরুখ খান থেকে শুরু করে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকি। সাতশো হিটম্যানকে নিয়ে গড়া তার গ্যাংয়ের হিটলিস্টে রয়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকিকেও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে তারা। সেই তালিকায় এক চমকপ্রদ নাম হল সেই শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তার লিভ ইন পার্টনার আফতাব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Bollywood's richest family: ফল বিক্রেতা থেকে ১০০০০ কোটির মালিক, কাপুর-চোপড়া-বচ্চন-জোহারকে ছাড়িয়ে বলিউডের ধনীতম পরিবার...


বাবা সিদ্দিকির খুনের তদন্তে নেমে পুলিসের কাছে উঠে আসে এই তথ্য। মুম্বই পুলিসের দাবি লরেন্সের পরবর্তী হিট লিস্টে নাম রয়েছে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব পু্নাওয়ালার। বর্তমানে তিহার জেলে আটক রয়েছে আফতাব। ইতোমধ্যেই তিহারে আফতাবের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তবে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে এখনও কোনও তথ্য আসেনি বলেই দাবি তাঁদের। 


২০২২ সালের মে মাসে লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিনের হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ভয়াবহতা চমকে দিয়েছে দেশবাসীকে। চলতি বছর মে মাসে খুন হন শ্রদ্ধা। প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করা থেকে ফ্রিজারে দেহাংশ সংরক্ষণ, তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক ভয়ংকর হাড়হিম করা চাঞ্চল্যকর তথ্য। একদিকে ফ্রিজে যখন প্রেমিকার দেহাংশ থেকে কাটা মুণ্ডু মজুত, সেই অবস্থাতেও ফ্ল্যাটে নিত্য নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছে আফতাব। 


আরও পড়ুন- Rajatava-Gargee: বিচ্ছেদের পর কেটেছে ১২ বছর, মেয়ের জন্য নিলেন বড় সিদ্ধান্ত...


পাশাপাশি, শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার জন্য আফতাবের অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব। ঘরের মেঝে থেকে রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলতে ব্লিচিং পাউডার সহ আরও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে সে। এমনকি জেরায় আফতাব এও কবুল করেছে যে খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় সে! তারপর সেই 'কিমা' করা নাড়িভুঁড়ি কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়।


'রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছি', নার্কো টেস্টে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি করেছে আফতাব। এমনকী, প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের জামা-কাপড়, মোবাইল ও খুনের ব্যবহৃত অস্ত্র কোথায় ফেলেছিল, সেকথাও জানায় অভিযুক্ত।  পলিগ্রাফ টেস্টেও নির্দ্বিধায় অপরাধ স্বীকার করেছিল আফতাব। যদিও নার্কো টেস্ট বা পলিগ্রাফ টেস্টে অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি আদালতে প্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য হয় না। তা আদালতে পেশ করা যাবে না। কিন্তু এই স্বীকারোক্তি তদন্তকে অনেকটাই সাহায্য করে। প্রমাণ সংগ্রহের কাজ সহজ হয়। বর্তমানে তিহার জেলে আটক আফতাব। 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)