নিজস্ব প্রতিবেদন— দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও কয়েক লাখ শ্রমিক আটকে রয়েছেন। নিজের রাজ্যে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন শ্রমিকরা। করোনার প্রকোপ কমাতে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এই নিয়ে তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে। এতগুলো দিন অনাহারে, পরিবারের থেকে দূরে কাটাতে হয়েছে বহু শ্রমিককে। তবে ইতিমধ্যে বহু শ্রমিক বাড়ি ফিরেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার হাজার টালবাহানার পর শেষমেশ শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্য সরকার বাসের ব্যবস্থা করেছে শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য। এগিয়ে এসেছে রেল। ব্যবস্থা করা হয়েছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের। তবে এর মধ্যে আবার নতুন করে বিপদ দেখা দিয়েছে। আর তা নিয়ে ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে সাম্প্রদায়িক অশান্তি হতে পারে। আর সেই জন্য বাড়তি সতর্ক রেল। এখনও পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলেছে। রেল নতুন করে গাইডলাইন ও প্রোটোকল জারি করেছে। রেলের কামরা সঠিকভাবে স্যানিটাইজ করার উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, ট্রেনের কামরায় যাতে কোনওরম যাতে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কথাবার্তা না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখছে রেল। আর তার জন্য ট্রেনের কামরায় সিসিটিভির নজরদারি চালানো হবে। এমনকী যাত্রীদের মধ্যে যাতে কোনওরকম সাম্প্রদায়িক আলোচনা না হয় সেই জন্য প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্য নেবে রেল। সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য রিটায়ার্ড জওয়ান, হোমগার্ড এমনকী প্রাইভেট সংস্থা থেকে সিকিউরিটি গার্ড নিযুক্ত করা হবে।


আরও পড়ুন— "সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আরোগ্য সেতু অ্যাপ," এথিকাল হ্যাকারের দাবি উড়িয়ে দিল কেন্দ্র


ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্টেশনে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছে রেল। যে কোনও রকম অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলেই যাতে রাজ্য পুলিসের সহায়তা নেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে রেলের তরফে। এছাড়া স্যানিটাইজেশন—এর ব্যাপারেও কোনও আপোস করতে চাইছে না রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেন ছাড়ার আগে ও গন্তব্য স্টেশনে পৌঁছনোর পর যাতে স্যানিটাইজ করা হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। এমনকী, চলন্ত ট্রেনে সাফাইকর্মীদেরও রাখা হবে। এছাড়া শ্রমিকদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।