Siddaramaiah`s swearing-in ceremony: কেজরি থেকে বিজয়ন, সিদ্দারামাইয়ার শপথে কেন ব্রাত্য এই অবিজেপি নেতারা?
কর্নাটকে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াই শনিবার ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। ২২৪ টি আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস পেয়েছে ১৩৫ টি আসন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, এমনকী বিরোধী নেতারা। কিন্তু কোন কারণে কেজরিওয়া, চন্দ্রশেখর রাও এবং পিনারাই বিজয়নের মতো নেতা এবং অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের অতিথি তালিকায় রাখল না কংগ্রেস?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষপর্যন্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসছেন সিদ্দারামাইয়া। পাশাপাশি রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ডিকে শিবকুমার। সিদ্দারামাইয়ার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি তালিকাও বেশ চমকপ্রদ। ভিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা সকলেই হাজির থাকবেন। কিন্তু লক্ষ্যণীয় বিষয় আমন্ত্রিতদের তালিকায় বাদ বেশ কয়েকজন অবিজেপি হেভিওয়েট নেতা। কিন্তু এর তাৎপর্য কী?
আরও পড়ুন, 2000 Currency Ban: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষণা, বাতিল ২০০০ টাকার নোট
কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার-সহ ১১ জন শীর্ষ বিরোধী নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই জমকালো অনুষ্ঠানে কিছু অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো থেকে বিরত থেকেছে কংগ্রেস। এর মধ্যে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও, অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি, কেরলের পিনারাই বিজয়ন, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক।
কারণ ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কেসিআরের বিআরএস এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে সিপিএমের পিনারাই বিজয়ন, আপের অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও ভগবন্ত মান, সপার অখিলেশ যাদব, জেডিএসের এইচডি কুমারস্বামী-সহ বেশ কয়েকজন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
তবে কংগ্রেসের কোনও নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও কেসিআরের রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের হাত ধরে। কিন্তু ২০০১-এর এপ্রিলে নিজের দল গঠনের পর থেকে তিনি এই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি থেকে দূরেই রয়েছেন। কেসিআর-এর বিআরএস-এর মতোই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ-ও বিজেপি-কংগ্রেস দুই দলেরই কাছেই বিকল্প হিসেবে সামনে এসেছে। দিল্লিতে যেখানে আপের সরকার, সেখানে কেজরিওয়ালের দল কংগ্রেসের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে। ২০১৩ সালে দিল্লিতে শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসকে পরাজিত করে কেজরিওয়ালের আপ নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশ করে।
ন'বছর পরে পঞ্জাবেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়, যখন রাজ্যে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টাকে ব্যর্থ করতে আপ পাঞ্জাবে আধিপত্য় বিস্তার করে। যখন আঞ্চলিকভাবে জগন রেড্ডি, পিনারাই বিজয়ন এবং নাভিদ পট্টনায়েকের মতো নেতৃত্বের কথা আসে তখন কংগ্রেস হয় নিজ নিজ রাজ্যে তারা সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামে অথবা তাদের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে নীরবে সমর্থন করতে দেখা যায়।
২০১৯-এ অন্ধ্রপ্রদেশে তেলুগু দেশম পার্টিকে হারানো জগন মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআরসিপি এর আগে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারকে সমর্থন করেছে এবং মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ বলেও মনে করা হয়। কেরালায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। আর বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়েককে নিয়ে রাজনীতি স্পষ্ট। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, আগামী লোকসভা ও ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনে তিনি একাই লড়বেন এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে চান না।
সুতরাং কর্ণাটকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে বাদ পড়া নেতাদের তালিকা প্রকাশ করে কংগ্রেস স্পষ্ট করে দিল তারা কাকে বন্ধু মনে করে, কাকে শত্রু....
আরও পড়ুন, RBI: চেন্নাইয়ের রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ল টাকা ভর্তি আরবিআইয়ের ট্রাক! তারপর....