নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লি-হরিয়ানা সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষক বিক্ষোভস্থলে দলিত শ্রমিককে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। মৃতের ডান পা ও বাম হাত কেটে নেওয়া হয়েছিল। হত্যার দায় নিয়েছে শিখ 'যোদ্ধা' সম্প্রদায় নিহং। আত্মসমর্পণ করেছেন নিহং, সরবজিৎ সিং। নিহং গোষ্ঠীর 'নিরভেয়ার খালসা-উড়না' দল বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে,''যারাই অপবিত্র কাজ করবে তাদের সঙ্গে এমন আচরণই করা হবে। পুলিস-প্রশাসনের ধার-ধারি না আমরা।''     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার ভোর ৫টায় লখবীর সিং নামে এক দলিত শ্রমিকের দেহ মেলে সিঙ্ঘু সীমানায়। পঞ্জাবের তাম তরন জেলার বাসিন্দা তিনি।  কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর? একাধিক ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট হয়েছে ঘটনার পিছনে রয়েছে নিহং গোষ্ঠীর হাত। একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, লখবীরকে প্রশ্ন করছে নিহংরা। অন্য আর একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, হাত কাটা অবস্থায় কাতরাচ্ছে লখবীর। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। তাঁর উপরে দাঁড়িয়ে নিহং গোষ্ঠীর লোকেরা। 


ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। তারা জানিয়েছে, নিহং গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনও যোগ নেই তাদের। দলিত ব্যক্তির হত্যার নিন্দার করেছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। তাঁর বক্তব্য, পুলিসের তদন্ত সত্য প্রকাশ পাবে। লখিমপুরে বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় টিকায়েত বলেছিলেন, ''এটা ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া।'' সেই প্রসঙ্গ স্মরণ করিয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য টুইট করেছেন,''লখিমপুরের গণপ্রহারকে সমর্থন করেছিলেন টিকায়েত। পাশে থেকে নীরব সম্মতি দিয়েছিলেন যোগেন্দ্র যাদব। সেটা না করলে কুন্ডালি সীমানায় যুবকের মৃত্যু হত না। কৃষকদের নামে বিশৃঙ্খলাকারীরা বিক্ষোভ করছে। এটা সামনে আসা দরকার।''       
                      
হামলার দায় স্বীকার করে নিহং গোষ্ঠীর বলবিন্দর সিং জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে ওই ব্যক্তি আমাদের কাছে এসেছিলেন। সেবার নামে আমাদের বিশ্বাস অর্জন করে। সকালে প্রার্থনার আগে পবিত্র বইয়ের আবরণ সরিয়ে দেয়। আমাদের ধর্মীয় বইকে অপমান করেছে। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে পাকড়াও করা হয়। তার কাছ থেকে পবিত্র বই উদ্ধার হয়েছে। 


আরও পড়ুন- বিজয়ায় দুর্গা-অঙ্গনে সিঁদুরখেলার ছলে Baishaki-কে বাঁধলেন Sovan


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)