স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


উড়তা পাঞ্জাব সিনেমার কল্যাণে, দেশে হঠাত্ই ড্রাগ, ড্রাগ আর ড্রাগ শব্দের রমরমা। ফিল্মের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, বাস্তবকে ফুটিয়ে তোলাটা তো সমাজের পক্ষে ভালো। উল্টো দিকে সেন্সর বোর্ডের সর্বেসর্বা প্যাহেলাজ নিহালিনরা শুধু কাঁচি করেই থেমে থাকেননি, একেবারে সরাসরি আঙুল তুলছেন পরিচালকের দিকেই। তিনি নাকি আম আদমি পার্টির থেকে টাকা নিয়ে এই ছবি বানিয়েছেন। মাথায় রাখতে হবে আগামী বছরই পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। তাই উড়তা পাঞ্জাবের ধোঁয়ার রাজনীতিও উড়ছে!


এক ঝলকে এবার দেখে নিন, পাঞ্জাবে এখন মাদকের রমরমাটা ঠিক কী পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাহলেই নিজে থেকে বুঝতে পারবেন, যে উড়তা পাঞ্জাব নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে আপনার 'স্ট্যান্ড' কী হওয়া উচিত। একটা জিনিস পরিষ্কার যে, এই তথ্য এবং পরিসংখ্যানগুলো আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে।


১) এখন প্রতি বছর গড়ে পাঞ্জাবে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মাদক সেবন করা হয়! টাকার অঙ্কটা আবারও পড়ুন। সাত হাজার পাঁচশো কোটি টাকার মাদক কিনা প্রতি বছরে! এবং সেটাও শুধু পাঞ্জাবে!


২) মোট ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মাদকের মধ্য শুধুমাত্র হেরোইনের জন্যই পাঞ্জাবের যুবসমাজ বা নেশাশক্তরা খরচ করেন ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা!


৩) পাঞ্জাবের ১ লক্ষ ২৩ হাজার মানুষ পুরোপুরি মাদকাসক্ত। অর্থাত্, এঁরা সারাদিনে বেশ কয়েকবার মাদক নেন!


৪) আপনি যদি ১ লক্ষ ২৩ হাজার সংখ্যাটাকে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে বুঝে থাকেন, তাহলে বলে রাখা - এই সংখ্যাটা গোটা বিশ্বের মাদকাসক্তর সংখ্যার তুলনায় চার গুণ!


৫) প্রতিদিন পাঞ্জাবে ২০ কোটি টাকার ড্রাগ সেবন করা হয়! একটা রাজ্যে একদিনে ২০ কোটি টাকার মাদক সেবন করা হয়! সেই রাজ্যটার মেরুদণ্ড আর সোজা থাকার অবস্থায় আছে বলে আপনি মনে করেন!


৬) একজন মাদকাসক্ত পাঞ্জাবে গড়ে প্রতিদিন ১৪০০ টাকার মানে প্রায় দেড় হাজার টাকা মাদকের জন্য খরচ করেন!


এই হল আজকের পাঞ্জাবের পরিস্থিতি। এমন নয় যে, এই তথ্যগুলো খুব লুকিয়ে রাখার জিনিস। এই তথ্যগুলো সরকারি। আর এগুলো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে সব জায়গায়। তাহলে কেন উড়তা পাঞ্জাব থেকে পাঞ্জাবকে সরাতে হবে? ফিল্মের নাম তো সরিয়ে দেওয়া হবে জোর করে। কিন্তু বাস্তবের এই তথ্য গুলো কে সরিয়ে দিতে পারবে?