নিজস্ব প্রতিবেদন— মাত্র ছমাসের শিশু নাকি কোয়ারান্টিনের নিয়ম ভেঙেছে। আর তাই তাঁকেও ছেড়ে কথা বলল না পুলিস। ছমাসের শিশুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুলিস। মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমাতে সারা দেশে লকডাউন চলছে। এরই মধ্যে কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিস—প্রশাসন। অকারণে বাড়ি থেকে বেরোলেই সাধারণ মানুষকে লাঠিপেটা করছে পুলিস। কখনও গ্রেফতার করা হচ্ছে। মামলা হচ্ছে আইন ভেঙে রাস্তায় বেরনো লোকজনদের বিরুদ্ধে। লকডাউন অমান্য করায় গোটা দেশে অনেককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশ না মানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছমাসের শিশুর নাম উঠল এফআইআর—এ। সৌজন্যে উত্তরাখণ্ডের পুলিস। ছমাসের শিশুটি নাকি লকডাউন অমান্য করেছে। লকডাউন চলাকালীন হোম কোয়ারেন্টান—এর নির্দেশ না মানার অভিযোগে ৫১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে উত্তরকাশীর পুলিশ। সেই তালিকায় রয়েছে একটি ছমাসের শিশুর নাম। একটি তিন বছর বয়সী শিশুর নামেও এফআইআর দায়ের করেছে পুলিস। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। অনেকেই বলছেন, পুলিস কর্মীরা কি মামলা করার সময় সাধারণ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন! ছমাসের বাচ্চা কী করে বাড়ির বাইরে আসবে একা একা! তিন বছরের শিশুর পক্ষেও কোয়ারেন্টিন ভাঙা সম্ভব নয়। এমন আজব ঘটনার পর প্রবল সমালোচনা হজম করতে হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের পুলিশকে। 


আরও পড়ুন— বয়স ষাট পেরোলে করোনার ঝুঁকি বাড়ে, ছাঁটাই শুরু করল রেল


পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমেছেন উত্তরকাশীর জেলশাসক। ৮ বছরের কম বয়সী কারও বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট প্রয়োগ করে মামলা করা যায় না। ফলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লকডাউনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক সময়ই কড়া হচ্ছেন পুলিসকর্মীরা। নির্বিচারে লাঠি চালাচ্ছেন তাঁরা। কড়া হাতে পরিস্থিতি দমন করতে গিয়ে অনেক সময়েই বাড়াবাড়ি করে ফেলছেন পুলিসকর্মীরা।