ওয়েব ডেস্ক: প্রশাসনকে কলা দেখিয়ে অসমে অবাধে চলছে গরু পাচার। কলার ভেলায় ভাসিয়ে গরু পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। স্মার্ট স্মাগলিং, আনস্মার্ট প্রশাসন। ২৪ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট। ওপারে চাহিদা। এপারে যোগান। মাঝে সীমান্তের ব্যবধান। নিষিদ্ধ। তবু চলে লেনদেন। নানা ভাবে। নানান কায়দায়।কখনও কপিকলের মাধ্যমে কাঁটাতার টপকে ওপাড়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় গরু। কখনও নৌকায় করে গরু পৌছয় এপার থেকে ওপারে। তবে ইদানিং সীমান্তে সতর্কতা বেড়েছে। স্বয়ংক্রিয় নজরদারি এসেছে। কাঁটাতার পেরোনো আর আগের মতো সহজ নয়। তাই ফের রংরুটে হাঁটছে পাচারকারীরা।কোচবিহার লাগোয়া অসমের ধুবড়ি। এলাকার নাম আগমনী। কালজানি নদী বয়ে গেছে বাংলাদেশে। প্রথমে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় ঝোপজঙ্গল, আবর্জনা। তারপর কলার ভেলার সঙ্গে বেধে ফেলা হয় গরুকে। মুখটি জলের ওপরে রেখে ভাসিয়ে দেওয়া হয় কালজানি নদীতে। আবর্জনার ভিড়ে লুকিয়ে গরু ভেসে যায় বাংলাদেশে।ওপাড় থেকে তা তুলে নেয় স্মাগলাররা। চিহ্ন দেখে বোঝা যায় কার গরু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন নতুন প্রযুক্তির এসি কোচ আনার ভাবনা ভারতীয় রেলের


এভাবেই প্রশাসনকে কলা দেখিয়ে হাজার হাজার গরু পৌছে যাচ্ছে বাংলাদেশে। অসম প্রশাসনের অবশ্য দাবি, পাচারকারীদের নতুন চাল ধরে ফেলেছে তারা।দেশভাগের পর যবে থেকে আলাদা দুই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব, তবে থেকেই চলছে গরু পাচার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সীমান্তে অপরাধ দমন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যতবার নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনি হবে, ততবারই ফস্কা গেরো খুঁজে বের করবে মাফিয়ারা। প্রশাসনকেও নতুন করে কৌশল তৈরি করতে হবে।


আরও পড়ুন  আধারে নাম নথিভুক্তকরণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের